আমি মনে করি, বাছাইকৃত কবিতা নিয়ে কোনো বিতর্ক হওয়া উচিত নয়। কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এর উদ্দেশ্য নিয়ে বিশদভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, যা অত্যন্ত যৌক্তিক। যুক্তিসংগত কারণেই আমি চাই, এই প্রক্রিয়াটি অব্যাহত থাকুক।
তাহলে সমস্যা কোথায়? কী করলে বিতর্ক এড়ানো যাবে? এটি এখন একটি কোটি টাকার প্রশ্ন। ভালো মানের কবিতা যদি সাপ্তাহিক সেরা দশে ঠাঁই পেতো, তাহলে এই বিতর্ক দেখা দিতো না। কিন্তু ভালো মানের কবিতাকে পাশ কাটিয়ে যখন অপেক্ষাকৃত দুর্বল কবিতা সেরার দৌড়ে এগিয়ে যায়, তখনই তর্ক-বিতর্ক মাথাছাড়া দিয়ে উঠে।
তাহলে এ্খন উপায় কী? এর কি কোনো প্রতিকার নেই? আমি বিশ্বাস করি, নিশ্চয় আছে। সম্মানিত রিভিউয়ার যারা আছেন, আপনারাই পারেন আমাদের সবাই কে এই বিতর্কের করাল গ্রাস থেকে মুক্তি দিতে। প্রশ্ন হলো কিভাবে? আপনারা জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ব্যক্তিগত ভালোবাসা, হিংসা বিদ্বেষ পরিহার করে যথাযথ মূল্যায়ন করুন, ভালো লেখাকে ভালো বলুন; মন্দ লেখাকে মন্দ বলুন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিন। রিভিউ করার ব্যাপারে যতোটা সম্ভব সাম্যবাদ মেনে চলুন। প্রতিদিনই আপনার পছন্দের ব্যক্তির লেখা রিভিউ করবেন না। অন্যদেরকেও সমান সুযোগ দিন। আশা করি, যতোটা বিতর্ক আছে, ততোটা থাকবে না। অনেকাংশ কমে যাবে। মনে রাখবেন, আপনার কবিতা আপনার কাছে যেমন সন্তান তুল্য, তেমনি প্রত্যেকের কবিতাই প্রত্যেকের কাছে সন্তান তুল্য। সম্মানিত রিভিউয়ারগণের যোগ্যতা নিয়ে আমি কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করতে চাই না। চাওয়া উচিত ও নয়। তবে একথাও সত্যি যে, সকল রিভিউয়ারের বিচার কোনোদিন এক হবে না। অবশ্যই তাদের দৃষ্টি ভঙ্গির পার্থক্য থাকবে। মনে, মননে, চিন্তা, চেতনায় পার্থক্য থাকবে। এটাই অতি স্বাভাবিক।
সবশেষে সকলের উদ্দেশ্যে একটি কথা না বললেই নয়, আমার কবিতা বাছাইকৃত হলেই রিভিউ খুব ভালো হয়েছে, আর বাছাইকৃত না হলেই রিভিউ ভালো হয়নি; আমাদেরকে এই মানসিকতা পরিহার করতে হবে। দেখবেন আর কোনো সমস্যা নেই।।
সকলের জন্য অফুরান শুভ কা ম না।