♦জলছবি প্রকাশনের ৭০০ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে আমার লেখা উপন্যাস ভণ্ড। সুপ্রিয় সহকবি বন্ধুজন আপনি যে শ্রেণির পাঠকই হউন না কেন আশাকরি ভণ্ড আপনাকে ছুঁয়ে দিবেই।
ফ্ল্যাপঃ
---------
#জসীম_উদ্দীন_মুহম্মদ বিশিষ্ট কবি ও কথাসাহিত্যিক জসীম উদ্দীন মুহম্মদ সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছুই নেই। বোদ্ধা কবি হিসাবে তিনি সমধিক পরিচিত হলেও তিনি একজন অত্যন্ত বড় মাপের লেখক। যাঁর লেখা কবিতা,গল্প ও প্রবন্ধ নিয়মিত জাতীয় পত্র-পত্রিকাতে প্রকাশিত হয়।
"ভণ্ড'' উপন্যাসের নায়ক অচল একজন রহস্য যুবক। বিশেষ পরিস্থিতিতে মুখে যা বলেন বাস্তবেও তাই হয়ে যায়! বইটি পড়তে পড়তে আমি যেন ভিন্ন এক জগতে প্রবেশ করেছিলাম। বলা চলে ভণ্ডতে বুঁদ হয়েছিলাম। উপন্যাসের নায়ক মহামতি অচল নিজেকে দাবি করেন ২৫% মানুষ আর অবশিষ্ট ৭৫% পশু। তিনি মানুষ হতে চান। ১০০% মানুষ। কিন্তু কেন এবং কীভাবে মানুষ হবেন? সুগভীর জীবন দর্শনের এইসব প্রশ্নের জবাব লেখক দিয়েছেন অত্যন্ত প্রাঞ্জল এবং সাহসী উচ্চারণে।
আমরা কেউ কেউ মানুষ আর কেউ কেউ জানোয়ার! পশু প্রবৃত্তিকে খুন করে মানুষ হওয়ার এই মিশন দিয়েই সৃষ্টিকর্তা সকল মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। সাকসেসফুল হলে আলোর উপর আলো আর না হলে অন্ধকারের উপর অন্ধকার।
রিকশাওয়ালাকে ভাই বলার মহাঅপরাধে নায়ক অচলের ২য় প্রেমিকা কামের দেবী আফ্রোদিতি খ্যাত শিখা যেমন তাকে চিরদিনের মতো ছেড়ে যায়; তেমনি তাকে ছেড়ে যায় আজন্মের প্রেমিকা নীলাদ্রি, ৩য় প্রেমিকা সুবর্ণা এবং নাবালিকা প্রেমিকা আঁচল। এদের কারো সাথেই অচল অন্যায়ভাবে আপোষরফা করেননি। নিজের চরিত্র এবং ব্যক্তিত্ব একবিন্দু বেহাত হতে দেননি। এভাবেই অচল প্রতিনিয়ত মানুষ হওয়ার রেটিং পয়েন্ট বাড়িয়ে নিয়েছেন। তাঁর কল্পিত ১০০% মানুষ হওয়ার দৌড়ে পরীক্ষার পর পরীক্ষা দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত অচল কি ১০০% মানুষ হতে পেরেছিলেন?
সুপ্রিয় পাঠিক, উপন্যাসটি কালজয়ী হবেই; এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।।
"ভণ্ড" পড়ুন ; নিজেও অচলের মতোন নান্দনিক ভণ্ড হউন!!
জালাল উদ্দীন মুহম্মদ
বিশিষ্ট কবি এবং কথাসাহিত্যিক।
============================