. এত অত্যাচার কেন?
এ পৃথিবী ’পরে! কিসের এত বড়াই?
বাজবেই সে হুংকার,
মৃত্যুর মহা ঝংকার-
হবেনা কখনোই নিস্তার, যতটা দূরত্বেই দৌড়াই।
এত হাঙ্গামা কেন বা-
প্রতি ক্ষণে ক্ষণে। আবেগী পৃথিবী জুড়ে।
নেই ভ্রাতার বন্ধন,
নেই রক্তের স্পন্দন!
বহমান রেষারেষি আর, অস্থিরতা- নিষ্ঠুর সে সুরে!
বল, কি এমন দীপ্তি-
মায়াবী নজরে! (বাঁচার অদম্য ইচ্ছা!)
স্তব্ধ! উদ্দীপ্ত নখরে,
উঁচিয়ে লিপ্সা শিখরে!
ক্ষণিকেই বিবেকহীনা রে, ক্ষণিকেই পৈশাচিক কিচ্ছা!
মৃত্যুর হুংকার ছেড়ে-
কি এমন ফল! কেন বা হিংস্র নজর ।
হয়ে যাবে সব পর,
চলে যাবে ছেড়ে ঘর।
শুধু বেঁচে দেখা যদি পারো, এভাবেই হাজারো বছর।
থাকবেনা সতত রে
এ মন, মনন। (যাবেই অহম পুড়ে)।
মিটবে মারার আশা,
ধরবে মরার নেশা!
পাবিনা রে নিস্তার সায়াহ্নে, আপনার সাজানো এ ঘরে।
কত দিন আর ক্রোধ-
লুপ্ত সে লহরে! (বাজে সুকরুণ সুর)।
অশান্ত এ স্বপ্ন- জানি,
খুঁজছে আশার বাণী-
নিয়ে সুস্পষ্ট কষ্ট দু’ঠোটে, অশ্রু জলে দূর বহুদূর ...
(১০ এপ্রিল, ২০০৩#১১৩)