মেঘ তুমি উড়ো কেন নাই কোন ঘর যেন
ঘর মুখো হবে কবে বলো,
‘ঘর-বাড়ি কিছু নাই- কভু পথে থামি নাই
কত কিছু চেনা জানা হলো’।
আমিও প্রতিটা দিন চলি ঠিকানা বিহীন
চলো তবে, এক সাথে চলি!
বাসনা নীরবে পুড়ে- দু হাতে জড়িয়ে ধরে
মন খুলে সব কথা বলি!
আমি এক পথ ভোলা পথে পথে একা চলা
দিন দিন হয়ে যাই দীন,
দেহ ঘড়ি অনায়সে জানি যাবে পরবাসে
করে দিয়ে সব কিছু লীন!
ক্ষণিকের মোহবশে আছি আমি পথে বসে
পথ কভু ফুরায় না আর,
চলে গেছে সব কিছু দুঃখগুলো নিছে পিছু
দুঃখে সখী মুখ হলো ভার!
আশাগুলো মরে গিয়ে দেখা দিছে ব্যথা হয়ে
আসছেনা আলো আর কাছে,
বেদনারা হেলেদুলে কাছে আছে পথ ভুলে
মরে গেছে মন দুঃখে পাছে!
মেঘ তুমি উড়ে গেলে কথাগুলো গিয়ে ভুলে
জানি আর শুনবেনা কেউ!
শেষ হবো ক্ষয়ে ক্ষয়ে, ফোটা ফোটা ঝরে গিয়ে
মুছে দিয়ে বুকে জমা ঢেউ!
জানি তুমি উড়ো কেন ব্যথাগুলো ঝরে কেন
কেন করো দুঃখ নিয়ে সন্ধি,
দুঃখ আছে দুঃখ র’বে দুঃখ শেষে পড়ে র’বে
আমি তুমি রবো চির বন্দি!
(৮ আগস্ট, ২০০২#৮১)