গভীর রাতের অভিলাষে আমি আজ ক্লান্ত;
মরা জ্যোৎস্নায় এখন আর মন ভরেনা।
ঘড়ির কাঁটায় রাত ১১ টা বাজলেই শিশুর মতো
হামাগুড়ি দিয়ে হারিয়ে যাই ঘুমের রাজ্যে।
অথচ আমার ঘুমানোর কথা ছিল না
কথা ছিল কারো সাথে বিনিদ্র রজনী যাপনের।
আমি ঘুমিয়ে পড়লেই কী তুমি ঘুমিয়ে পড়?
খোঁজ কী নেওনা হারিয়ে ফেলা কোন স্মৃতির?
ফিরে কী চাওনা কোন অবাঞ্চিত অতীতে?
যে অতীতের কালগ্রাসী দুষ্টু স্মৃতিরা
আজও তোমাকে ঘুমাতে দেয় না।
তখন মনের কোঠরে ভেসে কী ওঠে না
আমার প্রতি বেহিসাবি রাগ; প্রাগৈতিহাসিক নষ্ট সংলাপ!
অভিমানের চাকা কী ঘুরে না নিলজ্জের মত?
রাতটা বিদায় নিলে আবারো ব্যস্ততার গালিচায় সাঁতার
আবারো ব্যস্ত শহরের অলিতে-গলিতে ছোটাছুটি জীবনের তাগিদে
আবারো ভুলে যাওয়া দিনের প্রারম্ভ থেকে রাত অবধি
কারো মায়াময় মুখ; কারো মাথা আছড়ানোর খবর; কেমন আছো?
খেয়েছো কি না? কি করছো? কবে দেখা হচ্ছে? সহস্র সংলাপ;
এরই মাঝে হঠাৎ করে বিচ্ছিন্নতার মালাবদল।
প্রতি রাতের মত ঘড়ির কাঁটায় ১১টা বাজলেই
সমস্ত ভালবাসা উপেক্ষা করে আবারো ঘুমিয়ে পড়া।