(বন্ধু জাইদুল স্মরণে)

অবেলায় অবাক বিদায়
জানল না কেউ এতটুকু
নেওয়া হলনা ছাড়পত্র
হলনা বিদায় অনুষ্ঠান
রচিত হল না কোন কাব্য
গাওয়া হলনা কোন গীত
তাতেই বিদায়ের ঘন্টাধ্বনি।

কি প্রয়োজন ছিল?
আমাদের মাঝে আসার
আমাদের আড্ডাতে যোগ দেওয়ার
যদি বিদায় না জানিয়ে
চলে যাবি এত তারাতারি?
আজ এই প্রশ্ন নিছক।

জাইদুল,
তবে তোকে খুব মনে পরে
তুই কুসক এ আমার প্রথম বন্ধু
আর তুই চলে গেলি সবার আগে।
তুই বলতি মাঝেমধ্যে
বাড়িতে তোকে নিয়ে সবাই স্বপ্ন দেখে
তুই একদিন অনেক বড় হবি।
তোর ইচ্ছেও ছিল অনার্স পাস করে
অনেক কিছুই করার।

এলএলবি পড়ার কথাও বলছিলি
তোর আর কিছুই করা হল না!
আজ এমএ ক্লাসে ভর্তি হলামরে
তোর মুখটা বারবার মনে পরছিল
মনে হয়েছিল এইমাত্র দেখা হল!
কোথায় যেন গেলি আসবি এখনই।

তোর কি মনে পরে?
অনার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষায়
তুই ছিলি অামার পিছনের বেঞ্চে।
পরের তিনতিনটি বর্ষের পরীক্ষায়
তোকে ভেবে পিছন ফিরে তাকিয়েছি
চমকে উঠেছি মাইদুলকে দেখে
অগচরে অানমনে লেখা থামিয়ে
অাবার লেখা শুরু করেছি
অথচ................।

জানিস?
মাঝেমাঝে তোর ফোনে কল দিতাম
সিম কার্ড অফ দেখাত
দ্বিতীয় বার ডায়াল করতে গিয়ে মনে হত
তুই তো নেই!
আর কোন দিনও কল ধরবি না।

অবেলার বন্ধু
অাল্লাহ তোর যেন বেহেস্ত নসিব করে।