অতীতের উঠানে জমা হয় ধুলোবালি ধূসরিত
হাসি মুখের আড়ালে দুঃখগুলো থাকে বালিশ চাপা
বেশ তো ভালোই আছি
অবাক কাণ্ড! কত সহজে বলা হয়ে যায়!
নিখুঁত অভিনয়ে
বাইরে লাগানো থাকে আভিজাত্যের শিলমোহর
সুখের পসরা
ক্লান্তি নেই মিছা কথা বলতে
বোকা ঘুড়ি তবুও কেন গোঁত্তা খাও অসীম আকাশে?
তবে কি জীবনের ওপর কোন কর্তৃত্ব নেই?
লাটাইটা চালাচ্ছে অন্য কেহ।
কিছু কি লাভ হয়েছে মিথ্যা সুখের পিছনে ছুটে?
আমরা তো কেউ ভালো নেই
সুখপাখি দেয়নি ধরা; মনের হয়েছে অসুখ
পুরাতন প্রেমের অন্তর্দাহে জ্বলছি দিবস-যামী
হঠাৎ মরা গাঙে জোয়ারের মত দেখা দেয় নবপ্রেম
ভালো রাখার দৃঢ়তায় কেউ কেউ উঁকি দেয়
মনের চৌকাঠে সংগোপনে
পা বাড়াই দিগ্বিদিক না তাকিয়ে
সে তো ভালোবাসা নয় কামনা ব্যতিত
পুরাতন স্মৃতিস্তুপে দগ্ধ মন
নতুন স্মৃতি জমাতে বড্ড ভয় পায়
ফলাফল পাটিগণিতের সূত্রমতে শুন্য
কিভাবে যেন মিশে যায় স্মৃতির পাতায়
তাই মুছে ফেলে সব; বেলা শেষে
ভালো থাকতে, ভালো রাখতে।
ভালোবাসা আজ বন্দি স্বার্থের বেড়াজালে
জেনে বুঝে কেউ করে না বিষ পান
নীলকণ্ঠ তবে ক্যামনে হয়?
প্রিয় মানুষটা নিজ হাতে ক্যামনে রচনা করে
প্রেমের সমাধি?
স্মৃতিপটে থাকে আমরণ অমলিন
ভালোবাসা কামনার বুকে আশ্রিত হয়ে বলে
ভালো থেকো;
ধ্বংসের মুখে এগিয়ে দিয়ে বলে
তোমাকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে
ধংস করো না নিজেকে;
আমার চেয়ে পাবে ঢেঁড় ভালো।
প্রিয় মানুষটা চলে গেলে; তার
উপদেশ কিংবা আশির্বাদের প্রয়োজন হয় না।
মানুষ গিজগিজ করছে চারদিকে হাসির শব্দ
ওই তো লাল শাড়ি পরে একজন কনে সেজে কাঁদছে
মায়া কান্না
একজন মুকুট মাথায় বসে আছে রুমাল মুখে
দিগ্বিজয়ী বীর
একটু পরে তাদের সৃজন হবে মধুর প্রনয়।
ব্যর্থ মেয়েটা কয়েকদিন কাঁদবে
ইচ্ছে করবে ওপারে যাওয়ার
কোন শুভাকাঙ্ক্ষী পেলে ভুলে যাবে সব
নবোদ্যমে পথ চলা শুরু সাবধানী পা
গোয়াল পোড়া গরু মেঘ দেখলেই ডরে।
ব্যর্থ ছেলেটা খাবে কয়েকটা ঘুমের ট্যাবলেট
আড্ডা দিয়ে কিংবা একাকী কাটাবে সময়
নিকোটিন কিংবা এলকোহল চেপে বসবে মাথায়
অতীত ভুলে যেতে অন্য পথে যাত্রা
কি নির্মম বেঁচে থাকা!
কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে কষ্টানলে সাঁতার!
পরাজয়ে ডরে না বীর; প্রস্তুতি আবারো সমরে
চোখে দাউদাউ করে প্রতিশোধের অনল
পুড়ে ছারখার রংচটা রোদ্দুর।
কেউ কেউ সব কিছু উপেক্ষা করে পারি জমাবে
অন্য জগৎ
আহ! আত্মহনন মানুষকে এনে দেয় শুভ মুক্তি
প্রিয় মানুষটার হাসির জন্য মহৎকর্ম
বৃত্ত ভাঙার দুঃসাহস দেখিয়ে পরে যায় অতলে
মানুষ হিসেবে নয় কেউ বৃত্তের বাহিরে
এতো সবাই জানি
তার চেয়ে চলো ভাওয়াইয়া শুনি
“ওকি গাড়িয়াল ভাই,
কতই রবো আমি পন্থের দিকে চাইয়ারে …….”
যেথায় মিশে আছে আমাদের পূর্বপুরুষের প্রাণ।
-জরীফ উদ্দীন