তাকিয়ে আছি আকাশের দিকে, চাঁদের আলো অস্পষ্ট।
শ্রাবণেই শরতের রেখা মিট মিট শারদীয়ার গন্ধ।
আকাশ ব্যাপী টুকরো টুকরো সাদা মেঘ
মৃদু গতিতে ভাসমান-এপার থকে ওপারের দিকে মুখ করে ছুটছে
ফাঁকে আবার সাহস করে উঁকি দিল চাঁদ।
চারপাশে আলোর রাশিমালা পুঞ্জ হয়ে কুঞ্জে উঠলো --
পারলো না। বাতাস প্রবহমান।
কচি ডাবের শাঁস এর মতো তার গায়ের বর্ণ
নীচে ঘুঁট ঘুঁটে অন্ধকার জড়ো হচ্ছে, ছায়া তৈরিতে।
গাছের পাতার কোনে লুকিয়ে যাচ্ছে সোম কিরণ
হালকা বাতাসে খেলছিল। দুলছিল।
যেন বিনিদ্র কামিনী লাগছিল অনেকটা।
রুপোলী রঙের অপেক্ষায় চির অপেক্ষমাণ সে।
স্থির ধীর নীত রিক্ত সবই।
নিমেষেই ঘনিয়ে এল একরাশ কালো মেঘ।
বাতাসে ভর করে ঝন ঝনিয়ে ঝরতে লাগলো মেঘ কণা।
একটু ভিজে আবার শুকিয়ে নিলাম।
ঘুমের দেশে যাবার আগে মাকে বলে দিই--
দেখে রেখো, বৃষ্টি থামলেই ডাকবে আমায়, দেখবো সেই শুভ্র দুযতি।
খেলবো তার তলায় মেঘেদের ফাঁকে ফাঁকে সোমের আলোতে ভিজে।
মা ডাকলো, উঠলাম হুরমুরিয়ে।
দেখি শীতল ছায়া চন্দ্রমা অন্তর্হিত ।
জ্বলন্ত রবি অত্যুষ্ণ কিরণ তীব্র বেগে নিক্ষেপ করছে।
কেঁদে বলি জেগে উঠলাম কেন !