অমর একুশ
একুশ তোমাকে লিখিনি কখনো কবিতায়;
তোমার তান্ডবতা যখন কোটি মানুষের
ম্বপ্নে শাবল হানে—বাকশক্তি লুট
করতে চায়, তখন অনন্তলোকে আমি।
আমি গভীরতা থেকে দেখেছি—
উন্মত্ত পাগলপারা মানুষের ঢল
রাজপথের প্রতিটি ইটের টুকরোকে কেমন
উন্মাদ, বিহ্বল করে;
ইতিহাসের নিরব স্বাক্ষী খোপগুলোতে
কেমন ঝনঝন বেজে উঠে বিক্ষোভ, তারপর:
দাড়িঁয়ে থাকা পাথরে গড়া খুটিগুলো
বুলেট ছুঁড়ে মারে চরম হিংস্রতায়—
লালা শোনীতে ভিজে উঠে রাজপথ, বাংলার মৃত্তিকা
সালাম বরকত রফিক জব্বার সফিউর শহীদের কোলে লুটিয়ে পড়ে
১৪৪ এর পিশাচরা নেচে উঠে আনন্দে
কিন্তু শত মানুষের স্রোত যখন অযুত লক্ষকে ছাড়িয়ে যায়
ওপারের পাকিস্থান কেঁপে উঠে আতঙ্কে
ধুলোয় মিশে যায় বাধার দেয়াল
জেগে উঠে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো অমর একুশ
একুশে ফেব্রুয়ারী!
বাংলার একুশ, তোমাকে আবার বুকের রক্তে একান্ত আমাদেরই করে পেতে চাই।
(রচনা ১৯৯৮ সাল)
চাকমা ভাষা ও ২১শে ফেব্রুয়ারি
বিনা চাকমা ভাষা মিটবে কি আশা?
যতই বলো ইংলিশ, ফ্রেঞ্চ কিংবা স্পেনিজ
চাকমা যদি জন্মেছো তবে চাকমায় মিলবে মুক্তি
অষ্ট্রেলিয়া. জাপান, ইয়োরোপ বা আমেরিকা
কোথাই আছো তুমি, কোথাই পরবাস?
ভুলতে কি পারবে ২১শে ফেব্রুয়ারি, সারা বারোমাস?
আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস দিচ্ছে ডাক
এসো, এসো অজাপাঠের ছায়ায় এসো
কাকের সৌন্দর্য কি ময়ূরের পেখমে পাবে?
কালো কুৎসিত যে কাক,
সেই করে নোংড়া আর্বজনা পরিষ্কার, সাফ;
মুক্ত কর আবেগ, হীনমন্যতা, সংকোচ আর ভয়
অন্তরের মাঝে শক্তি ধরো, একদিন আসবেই জয়।
(রচনা ২১শে ফেব্রুয়ারী, ২০২২)