পাঁচ সাল কেটে গেলে ফুরফুরে হাওয়াতে
ভোট পাখী উড়ে আসে রোদ মেখে ডানাতে
তাঁকে ছাড়া চলবেনা এই কথা জানাতে
খুব মিঠে কথা কয় বোকা ফের বানাতে।
বোকা মোটে নয় মোরা; সাবধানী খুব
অনেক হিসাব করে তবে দেই ডুব।
জাত পাত ধর্ম- রঙ ও দেখা চাই
ফ্রি তে পেলে কোনকিছু গলে খুবই যাই।
ভোট দিই আঁক কষে প্রিয় দল জেতাতে-
তবে ওরা ভালবাসে মোটা মাল কামাতে।
ক্ষমতাকে সিঁড়ি করে উঠে যায় ওপরে
জনতাকে ভুলে যায় অকাজের ওজরে।
কত কাজ করে ওরা জান প্রাণ লড়িয়ে!
বাতেলায় নেই ফাঁকি সোশ্যালেতে ছড়িয়ে।
নাটুকে ভাষণ দেয় জনসভা কাঁপিয়ে
প্রচারের আলোটুকু খায় খুব তারিয়ে।
কত শত কথা কওয়া মিছিলের ভিড়ে
বানী তার ঝোলা গুড়ে- ভেজানো সে চিঁড়ে
যত মিঠে লাগে কানে বিষ তত বেশি
ভোট শেষ হলে জেনো কোমরেতে রশি।
সেবা তাঁর ধ্যান জ্ঞান, বুক ভরা ভাবনা
স্যাঙাতেরা খায় খাক; তিনি কিছু খান না
মানুষের ভালো হোক; আর কিছু চান না
চোখে জল! আসলে তা কুমীরের কান্না।
মধুমাখা বুলি শুনে জটে গেলে জড়িয়ে
দিলো যত আশ্বাস নিলে সবই কুড়িয়ে
প্রিয় বলে বুকে নিলো দুই বাহু বাড়িয়ে
ভোট গেলে দেবে জেনো একেবারে তাড়িয়ে।
বিকাশের পোয়াবারো পুঁজিপতি লুটবে
গরিবের ভিটেমাটি নিলামিতে চড়বে।
কারখানা হবে দেশে- জমি তাতে লাগবে
বেকারের পেট শুধু আশ্বাসে ভরবে।
টানাটানি কমে যাবে ছাদ হবে মাথাতে-
ভরা পেটে শুতে যাবে গরমের কাঁথাতে!
বৃথা আশা কর কেন হায় তুমি হাভাতে-
কাটমানি খেয়ে যাবে দলপতি মামা তে।
সরকারি চাকরী এমনিতে মেলে না
উপরি না পেলে হায় তেনাদের চলে না
রাজনীতি চাপে দেশে বিনিয়োগ আসে না
সরকার বদলায়- ভুখমারি মরে না।
ভোট আসে ভোট যায় চাষা খেটে মরে-
নেতা বসে ক্ষীর খায় পেট মোটা করে।
গরিবের প্রতিনিধি কোটিপতি তিনি!
বাবুয়ানি গতিবিধি হাড়ে হাড়ে চিনি।
জনগণ ভোট দিলে নেতা পায় জয়-
জয়ী হলে নেতাকেই লাগে বড় ভয়।
ভয়ে ভয়ে জনতা বেঁচে থাকে কোটরে
বেশুমার লোভ বাড়ে নেতাজীর জঠরে।
ভোট হল কাটাকুটি হিসাবের খেলা
মনোহারী উৎসবে মেতে থাকা মেলা
ভোট শেষে ঘোট করে লাগে নোট কামাতে
বয়ে গেছে নেতাটির কাজে মাথা ঘামাতে।
চাওয়া পাওয়া আশা কত হৃদয়েতে লিখলে-
হারানোর গ্লানি যত ধুয়ে যাবে এই দল জিতলে!
দল জেতে, নেতা জেতে, হেরে যায় মানুষে
নেতাদের দেওয়া কথা লেগে থাকে ফানুসে।