অদ্ভুতুড়ে কান্ড রে ভাই
বলব কি বা আর!
ভাতঘুমে যেই তন্দ্রা এলো
অমনি পগারপার।
আফিস ছেড়েই বেরিয়ে পড়ি
তেপান্তরের দেশে
ঠ্যাঙ ছড়িয়ে কাঁদছে রে বস
একলা ডেস্কে বসে!
গনক যন্ত্রে বাটনগুলো
খট খটা খট খাটছে
ঘূর্ণি পাখা চূর্ণি হাওয়ায়
ঘর্ম তাহার ঢাকছে।
চেয়ার মশাই রাখছে নজর
হিসাব লেখা খাতায়
বে-হিসাবের পর্দা গুলো
উড়ছে উতল হাওয়ায়!
কলম দানি ঝুঁকছে বসে
ঘুম ঘুম মৌতাতে
কলম দেখি ছিলিম টানে
খানদানি এক গুড়গুড়াতে।
জলের বোতল উলটে গিয়ে
ভিজিয়ে দিয়ে মেঝে
ঘুমিয়ে কাদা একনাগাড়ে
শ্রী- চৈতন্য সেজে।
লাঞ্চ বক্স টি সাক্ষী গোপাল
চুপটি আছে বসে
উপস্থিতি জানিয়ে দেবে
যদি মনিব নাহি আসে।
টেবিল বাবু রক্ত চোখে
চারপায়ে ঠিক খাড়া-
আসুক ব্যাটা ফিরে এবার!
আর পাবেনা ছাড়া।
ভয়ের চোটে আফিস কেটে
ঘরেই গেলাম ফিরে
চাট্টি খানেক ভাত খেয়ে ভাই
লেপের ওমে মুড়ে
আয়েশ করেই দিলাম পাড়ি
ঘুমের অন্তঃপুরে
তন্দ্রা ঘুমে যাচ্ছেতা সব স্বপ্ন গুলো
আবার এলো ফিরে!
ঘুমের ঘোরে মগ্ন স্বপন
উড়ছি আকাশ পানে-
বিদঘুটে সব বিলাপ বানী
আসছে ভেসে কানে।
রাতদুপুরে এতো দেখি
বিটকেলে ভারি উৎপাত
গভীর ঘুমের স্বপ্নে দেখি
ঘুম হয়েছে চিৎপাত!!