তুমি ভাল আছো ময়ূরাক্ষী?        
কাল সারা রাত তোমার কথাই ভেবেছি-
রূপোলি মীনের মতো পিছল আলিঙ্গনে অধরা
মায়াবী স্বপ্নের ঘোরে অধরে ছুঁয়েছি-  
কাল সারা রাত তোমার কথাই ভেবেছি।
নদীর বুকের থেকে উঠে এলে-
কোমরে জড়ানো কটিবাস
ঠোঁটে বুকে লেগে বালুকা কনা-
গায়ে মুখে কাদার সুবাস।
তোমার সোনালি ঊরুর কাছে বসে  
মরালী গ্রীবা ছুঁতে চাই-
এটুকুই একান্ত অধিবাস।

জাগ্রত দেবতা তুমি, তুমি দেবী-
মুদ্রিত চোখ, মস্তকে রাখ অপাপবিদ্ধ হাত-
অকৃপণ হাসিতে আলোকিত চরাচর।
ঝুমুর নাচের মতো নিবিড় উথাল হেঁটে যাও-
আরণ্যক হৃদয়ে আমার গহীন শোণিত নির্ঝর।    
দৃষ্টির অধোগতি নিকানো নাভি'র টানে-  
ক্ষমা নয়, করো অভিসম্পাত
শ্বাসের বাতাস ভরে দাও তিরস্কার বানে!  
একাঙ্গে না হোক, অপাঙ্গে কটাক্ষ হানো-
চাতকের মতো চেয়ে থাকা ক্ষয়িষ্ণু বুকে-
আতরের সহবাস নাই বা দিলে
বিষধর প্রেমের বন্যা আনো।
  
ভরা গাঙে মরা জোছনা- জরা বিছানায় শুয়ে
ঘুম নয়, ঘুমের ভানের মতো হিম নির্জনতা ছুঁয়ে
সমস্ত জড়তা টুকু করজোড়ে রেখেছি,
রেখেছি তোমার স্মরণে-    
ওই বেলা ভূমি রেখেছে ধরে চরণ চিহ্ন তোমার
যে ছোঁয়া গিয়েছো ফেলে ভুলে অবহেলে।
বুকের বাঁধনে কভু দাওনি ধরা  
মায়াবী স্বপ্নের ঘোরে অধরে ছুঁয়েছি-
কাল সারা রাত তোমার কথাই ভেবেছি।
চেয়ে দ্যাখো- হাঁটু গেড়ে দ্বিরুক্ত মিনতি
স্বীকারোক্তি দাও! আসমুদ্র হিমাচল সাক্ষী-
তুমি ভাল আছো ময়ূরাক্ষী??
----------------------------------------