অবনী ভবনে আলো ভরে আসে-
তরল জ্যোৎস্না ভাসে।
অবিরল ধারে করুণা কিরণে
প্রিয়তম অবকাশে-
স্বপন ছুঁয়েছে মেঘের পালকে
মগন ঘুমের আশে।
চকোরী চকোরে দোঁহে মিলে যেন
জোছনা ভরিছে শ্বাসে।
ফুলেল গন্ধে উতলা ধরণী
অভিসারী অবশেষে।
চপল চরণে প্রিয় অভিমুখী
পীত বরণীয় বাসে।
অনিলে অনিলে অম্রুত ঘ্রাণে-
সুবাস মোহন পাশে।
গহীন হৃদয়ে গোপন প্রণয়ে
সহসা কে যেন আসে!
রাত ভোর হল, পুবাকাশ পানে
আলোক কণিকা হাসে।
মলয় মারুতে মরমি সকালে
মেদুর তপন এসে
হরষ কাননে বিকচ কুসুমে
নয়ন চুমিয়া মেশে-
আকুল পরাণে বেহাগ গাহিয়া
মিলন রাগের রেশে।
শতদল তার পাপড়ি মেলিয়া
ভ্রমর প্রত্যাসে।
মধুকর ফেরে গুঞ্জরনে
মদির অন্বেষে-
পরাগ মাখিয়া প্রলাপ কথনে
প্রিয়তি আশ্বাসে।
মেঘমালা দল মরালী গ্রীবায়
কোমল সন্তরণে
দরিয়া আকাশে ধায়িত ত্বরায়
মুক্তি নিমন্ত্রণে
সঘন ছায়ার আঁচলে লুকায়ে
অলখ আভরণে।
কাকলি মুখর বিহগের দল
প্রত্যুষা অনুমানে
গোটানো পাখায় শিহরণ পায়
ব্যাকুলিত বিহানে
বনানী শাখায় কুসুমিত দল
মন্দ্রিত আহ্বানে।
সরসী মুকুরে কবরী বাঁধিয়া
অবগুণ্ঠন অভিমানে
যামিনী ফুরাল বাসর জাগার
সুরভিত অনুপানে।
রাঙিল হৃদয় তরুণী ঊষার
প্রণয় সম্ভাষণে।।
=================================================================
অনেক দিন পরে এই মাত্র এই কবিতা টি লিখেছি... হয়ত কিছু পরিমার্জনের প্রয়োজন রয়েছে, কিছু চোখে পড়লে অবশ্যই জানাবেন... সময়মত সংশোধন করে নেব।