সেই জানালার পাশে বসে আছি
নিচে নীরক্ত নদী প্রবহমান
নিকষ অন্ধকারে নক্ষত্র শ্রোতা
উন্মুখ নিমগ্নতায় হাপিত্যেশ রয়েছে—

মাথা খুঁড়ে চেয়ে আনা দুঃখ
ঘাম— রক্ত— মজ্জায়—
নির্নিমেষ হাতে দেহের মলাট খুলে
                          নিশানের মতো  
নিয়ত অবারিত থাকি—

বুকের ভেতরে দলা পাকানো অতীত—  
একাকী অবিরত ক্ষত খুঁড়ে খুঁড়ে
ভ্রান্তি ও ক্ষয়ে ছন্নছাড়া আত্মঘাতী ঝর্নাজল
                         প্রবাহিত দু-চোখ জুড়ে—

প্রচ্ছন্ন অন্ধকারে শৃগালের চোখ
জেগে থাকে আরণ্যক নৈশব্দ—
বৃষ্টির মতো তারা ঝরে পড়ে—
সোহাগী নারীর মুখ—  
                      তবু তারা হতে চায়-

স্বীয় অধীরতা মোহে—
কবিতা—
      কারও নারী নয় জেনেও  
ছুঁড়ে দিই  
             কাচের বাসনের মতো
নিজেকে—
পাথুরে বুকের কাছে তার

অমলিন প্রেমের পরশ মেলে না কিছুই
             স্বীয় ভাবালুতা অনির্বাণ—
এ সুখ আমার সর্বস্ব হারানো সাম্পান—।।