শিব কে ডেকে দুর্গা দেবী বলল মুচকি হেসে-
লক্ষ্মী সোনা! একবারটি যাওনা বাপের দেশে।
কোথায় কোথায় কেমন কেমন হচ্ছে আয়োজন!
এবার পুজোয় আসছে কি কি নতুন বিনোদন!    

এই না শুনে আয়েশ ভেঙে বললেন শিব ঠাকুর-
এই বছর টা ক্ষান্ত দাওনা! একটা বছর সবুর।
আসছে বছর আবার যেও বাপের বাড়ির দেশে-  
নইলে জেনো কোয়ারেন্টাইন জুটবে ভাগ্যে শেষে।

এইনা শুনে দুর্গা দেবী আকাশ থেকেই পড়েন!
এ কি তোমার আজব কথা! কি যে খবর দিলেন!
কোয়ারেন্টাইন করবে কেন! আমায় কাছে পেলে-
আত্মহারা ছেলে বুড়ো পাত্র মিত্র সক্কলেতে মিলে।      

তাই তো বলি খোঁজ খবরটা রাখছ না তো কিছু
বিটকেলে এক ভাইরাস এসে নিয়েছে সবার পিছু
হাঁচি কাশি শ্বাস কষ্ট সর্দি জ্বরে পৃথ্বী যে জেরবার    
এই বাজারে হ্যাপা করে মর্তে যাওয়া! খুবই কি দরকার?    

ফালতু কথা বোলো না তো! মর্তে আমি যাবই-
বছর ভরে একবারই যাই- না বললে গলায় দড়ি দেবই।    
বাচ্চা গুলোও মুখিয়ে থাকে এই কটা দিন তরে-
পুজোর ছুটির লুটবে মজা মামার বাড়ি ঘুরে।  

এতেক শুনে আত্ম ভোলা কুঁচকে কপাল ভুরু  
ধুত্তেরিকার সংসার রে, আবার হলো শুরু!  
লক্ষ্মী, গণেশ, কেতো, সরো সবাই কে দাও ডেকে
মামার বাড়ি কে কে যাবে- সুধাই ডেকে ডেকে।

সবার আগে লক্ষ্মী এলো- মুখটি লক্ষ্মী পানা
মামার বাড়ি যাবই যাব, শুনছি না তো মানা।
ব্যবসা পাতির অনেক ক্ষতি হচ্ছে যে এই বার
আমার তো তাই মর্তে যাওয়া ভীষণই দরকার।

গণেশ এসে বলল ভেবে- আমিও না হয় যাই-
এই কটা দিন ইচ্ছে মতন মণ্ডা মিঠাই খাই।
বছর ভরে ভিক্ষা করে কি আর এমন জোটে?  
বাবার দেখি হচ্ছে বয়স, বুদ্ধি তো নেই মোটে।

সরস্বতী নিপুণ অতি স্পষ্ট ভাষী মেয়ে-  
ফিগার কেন করব খারাপ মর্ত ধামে গিয়ে!
সেই তো শুধু লুচি পুরি ভাজা ভুজিই মেলে
যেতেই পারি একটা সর্তে- ডায়েট মেনু পেলে।  

কেতো এসে বলল শেষে মুখটা একটু মুড়ে-
সবাই যখন যাবে তখন আমিও আসি ঘুরে।
এখন তেমন কদর নেই আর নধর কান্তি দেহ  
ভাবছি এবার জিমে যাব সিক্স প্যাকের ই মোহ।  

অতঃপরে অসুর এসে করুণ সুরে বলে
সবাই তোমরা যাচ্ছ চলে আমায় একলা ফেলে!  
আমিই যদি পড়েই থাকি মারবে দেবী কাকে?
করোনা-সুর ফুটেজ খাবে! বলবে কি বা লোকে?

শিব দেখলেন মহান ফ্যাসাদ- কি যে এবার হবে!  
পত্নী গেলে বাপের বাড়ি- শেষে কি হাত পুড়িয়ে খাবে!
বললে তিনি সহজ হেসে কাঁচুমাচু মুখে-  
মর্ত ধামে হচ্ছে টা কি আসছি আমি দেখে।  
*********************************