~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~
শহর জুড়ে কত্ত মানুষ
এত্ত ভিড়ের মাঝে
একলা আমি; খেলার সুযোগ
পাই না মোটে খুঁজে।
ব্যস্ত সবাই; মা বাবা তাই
ছুটছে সকাল সাঁঝে
ইঁদুর দৌড়ে কাটছে জীবন
এমনি করেই বাঁচে!
কার্টুন দেখি; ওরাও কেমন
আপন মনে খেলে
দল বেঁধে সব ছেলেমেয়ে
স্কুলের পানে চলে।
কত্ত মজা সারা দুপুর
গল্প আড়ি ভাব
খুনসুটি আর খুশির রাশি
ঝরছে যে টুপ টাপ!
অমন কেনো হয়না এখন?
ওসব গেছে চুকে!
ডেস্কে বসে ক্লাসের ঘরে
অংক খাতায় ঝুঁকে -
যোগ-বিয়োগের জটিল ধাঁধা
শিখছি যে ঘাড় গুঁজে
ভবিষ্যতের সাপ-লুডোটার
হিসেব নিতে বুঝে।
কেউকেটা কেউ হতেই হবে
মা বলেছে আজ-
খেলাধুলায় নষ্ট সময়
নেই কোন তায় কাজ।
আমার মত পুঁচকে যারা
ব্যস্ত সবাই ভারী -
জজ ব্যারিস্টার অধ্যাপনার
চলছে যে তৈয়ারি।
আঁকতে আমার ভালোই লাগে
গাইতে আমি পারি
কিন্তু অতো সময় কোথায়!
সব দিয়েছি ছাড়ি।
লক্ষ্য আমার আর কিছু না
টপার হতেই হবে
বাবা-মায়ের গোমড়া মুখে
ফুটবে হাসি তবে।
তারপরে এক সুযোগ বুঝে
গলায় আদর টেনে
গ্রামের বাড়ি যাবোই যাবো
বলবো বাবার কানে।
ছোট্টবেলার গল্প গাথা
তোমার কাছে শোনা
মিলিয়ে দেখার ইচ্ছে খুবই
আমার যে দিন গোনা।
মেঠো হাওয়ায় লাটাই হাতে
আকাশ ছোঁবে ঘুড়ি-
টগবগিয়ে ছুটবো আলে
শূন্যে মুঠো ছুঁড়ি।
ডুবসাঁতারে উথাল পাথাল
পুকুর ডোবা নদী
ঠাকুরমায়ের আঁচলেতে জুড়িয়ে নেব
ক্লান্তি আসে যদি।
দেখবো চেয়ে আকাশ জুড়ে
তারার উঁকিঝুঁকি
জ্যোৎস্না রাতে অলস মেঘে
নকশী আঁকি-বুকি।
পুকুরপাড়ে ঝোপের আড়ে
জোনাক আলো জ্বেলে
কেমন করে মনের ঘরে
রূপকথা দেয় ঢেলে।।
~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~•~