ক-দিন হল চক্ষু মুদে-
ভাবছি বসে একা।
বুকের পাশে বাম দিক টা-
লাগছে যেন ফাঁকা?
শরৎ এলো, আকাশ দেখে-
বেশ তো আমি বুঝি।
পুজোর গন্ধ পাইনা কেন!
কোথায় তাকে খুঁজি?
অফিস কেটে এক বিকেলে-
শপিং সেরে এলাম।
ম্যাচিং জুতো জামা শাড়ী-
মাস্ক ও কিনে নিলাম।
গৃহ স্থালী সামলে রেখে-
স্ত্রী ও সঙ্গ দিল।
শপিং মলে হপিং করে-
ক্লান্ত কতই হল।
তারপর ও ঠিক মন ভরে না-
কি যেন তার চাই!
যতই কেন প্রশ্ন শুধাই-
জবাব কিছুই নাই।
রণ ক্লান্ত দেবী আমার-
ক্ষান্ত দিল শেষে।
কিনল যখন দুই খানা ফ্রক-
গড়িয়া হাটায় এসে।
শান্তি পেলাম! এবার তবে-
শপিং হল শেষ।
মনের মত পেয়েই গেল-
মেয়ের নূতন ড্রেস।
সকাল থেকে উৎকণ্ঠা-
দাঁড়িয়ে বাহির দ্বারে।
কেমন যেন আনমনা সে-
আপন মনের ঘোরে!
সন্ধ্যে বেলা শুধাই তারে-
কি হয়েছে বল।
শপিং কিছু রইল বাকি!
ঘুরেই আসি চল।
বলল তখন আলতো হেসে-
ব্যাপার তেমন নয়।
দিনকাল তো ঠিক ভাল নয়-
একটু যে হয় ভয়।
ওই যে গো সেই পিচ্চি মেয়ে-
ভিক্ষে করে রোজ।
আসছে না সে বেশ কটা দিন-
নাও না একটু খোঁজ।
দিন কটা দিন এদিক সেদিক-
কতই খুঁজি তাকে।
কেউ কি জানে তার কি খবর!
কোথায় সে বা থাকে?
হন্নে হয়ে যতই খুঁজি-
পাই না যে খোঁজ মোটে।
শঙ্কা মনে জমতে থাকে-
কখন কি যে ঘটে!
আজ সকালে বারান্দা তে-
দাঁড়িয়ে অবাক দেখি।
সেই মেয়েটাই নতুন ফ্রকে!
জুড়িয়ে গেল আঁখি।
আমার ঘরের দশভুজা-
দুই বাহু তার মেলে।
আদর করে জড়িয়ে তাকে-
আশিস দিল ঢেলে।
মায়ের চোখে আনন্দাশ্রু-
মেয়ের মুখে হাসি!
ঝলমলে সেই রৌদ্র মায়ায়-
খুশী রাশি রাশি ।
শিউলি ঝরে পড়ছে ভুঞে-
মাতাল করা ঘ্রাণে।
পুজোর গন্ধ ওই তো আসে-
আগমনী র গানে।