পরান খুড়া ২ লেখার মত সেরকম কোণ পরিকল্পনা ছিল না। গত কালের লেখা “পরান খুড়া” কবিতার মন্তব্যে প্রিয় কবি শ্রীযুক্ত সঞ্জয় কর্মকার একটি দারুণ ছন্দোবদ্ধ পঙতি লেখেন... আর তারপরে ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই পিঠো পিঠি দু জনে মোট ৬ টি পঙতি লিখে ফেলি। কোন পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়া এত অল্প সময়ে এত গুলো পঙতির একটি স্বয়ং সম্পূর্ণ কবিতা লেখা হয়ে গেল ভাবতেই কেমন যেন ঘোর লাগছে। অনুরোধ করব এই লেখা টি পড়ার আগে দয়া করে গত কালের লেখা “পরান খুড়া” কবিতা টি পড়ে নেবেন, তাহলে দুটো লেখার মধ্যে সহজেই সংযোগ খুঁজে পাবেন।
********************************************************************************************
কবিঃ সঞ্জয় কর্মকার
বিঁড়ির ধূমায় আসর জমায় পায় না খুড়া মজা
কইলো শালায় হরির ব্যাটায় আন রে কড়া গাঁজা।
ছিলিম টানি হুরুত হুরুত
লাইগলো আগুন খুড়ার ভুরুত,
হিক্কা দিয়া লম্বা সটান; বলো হরির দ্যাশের রাজা।
কবিঃ অভিজিৎ জানা
হরি ও ব্যাটা কম যায়না, ছিলিম বেদম টানি-
সাঁতার কাইটে বাঁধের উপর- ভাইবা সেটায় পানি।
এমন করেই নাগাল পেয়ে-
খুড়ার বুকে চড়াও হয়ে-
নাও চালাল বেদম জোরে লুঙ্গির পাল টা টানি।
কবিঃ সঞ্জয় কর্মকার
জুটলো পাড়ার মোড়ল মোতি হদ্দ চালাক বেদম অতি
রায় দিল সে মরইসে খুড়া; করইতে চলো শ্মশান গতি।
চার কান্ধে বাইন্ধ্যা কশি
তুইল্যা চিতায় জ্বালায় ভূষি,
খুড়া, লম্ফ দিয়া নামলো মাটিত; জিন্দা যেমন ব্রহ্ম ভূত ই।
কবিঃ অভিজিৎ জানা
অমনি মোড়ল কাপড় তুইল্যা ঝাপান দিল লদীর জলে
মদ্দা-মাদি ভাগল সবই জিন্দা মড়ায় শ্মশান ফেইলে
গাঁজার নেশা কমলে পরে-
খুড়ায় ফেরে সুড়ুত করে-
বানের জলে সাঁতার কাইট্টে ভাঙ্গা বাঁন্ধের কোইলে।
কবিঃ সঞ্জয় কর্মকার
বাঁন্ধে যেই আইলো খুড়ো বাঁশ হাতে সব হইলো জড়ো
খুড়ার ভূতের ভাঙলো কোমর, কইলো সবাই পিটায় মারো।
একটাও নাই মাটির পর
পড়লো খুড়ার ঘাড়ের উপর,
মরলে সে ভূত স্বস্তি সবার; দুখ হলো ভাই কারো কারো।
কবিঃ অভিজিৎ জানা
সেই যে হরা- গাঁজার যোগান দিছিল, সে ও দিল দু-চাইর ঘা
বলল- ব্যাটা ঘাটের মড়া মামদো ভুতের ছা! তুই বাঁশের বাড়ি খা-
এবার ঠ্যঙ্গে বাঁইন্ধা দড়ি
চিতায় তুলে দিইল পুড়ি
খুড়োর ঘরেই অফিস জুড়ে পটলা লেতা জমিন করল সাফা।