যদি দিনের ক্লান্তি বুকের ওপরে নির্বাক জেগে থাকে-
প্রেয়সীর প্রেম ঘামের কাঁথায়- কথামালা তাঁর কামনায় মুড়ে রাখে।
হৃদয়ের কথা রেখে দিই হৃদে- লিখি কাঙালের দিনলিপি-
জ্ববালার প্রেম চেয়েছি তোমাতে- বেহিসেবি শরীরের দাবি।
দিনগত পাপ ক্ষয়ে ক্ষয়ে- আজ পাহাড় হয়েছে টিলা-
হাঁটু গেড়ে তবু আকাশ চেয়েছি, দুঃসহ কালবেলা।
যদি ভোরের বাতাস ভরে রয় শুধু বারুদের আঘ্রানে-
চোখে চোখ রেখে মহাকাশ দেখি- মিছিলের সন্ধানে।
এ মিছিল শুধু ক্ষুধাতুর পশু ধুধু প্রান্তর পার-
জীবনের মানে জীবিকার টানে অবিরাম চলা অনিবার।
আগুনের খোঁজে সূর্যের কাছে বারবার ফিরে আসা
পিপাসার নেশা মুছে দিতে পারে আঁধার দুর্বাসা।
যদি পৃথিবীর টানে তারা খসে পড়ে মহাসাগরের জলে-
আলোকের পথে চলো চলে যাই খোলকের আভরণ ফেলে।
মুদ্রিত চোখে স্বপনের ঘোরে একা পথ চলে কারা?
নিয়তির সাথে লুকোচুরি খেলে এমন ভাগ্য হারা।
দলিতের বুক ছুঁয়ে থাকি- তাঁর শিবাশীষ টুকু দরকার
নেমক হারাম জঠরের জ্বালা- জ্বলে পুড়ে ছারখার।
যদি রাতের আকাশে ঘুমের আবেশে নিদারুন প্রেম জাগে-
পোড়া ঠোঁট চেপে কবিতা খাতায়, লেখনী আমার অমর কাব্য লেখে।
বুকের ভেতরে হাপর টেনেছি- দিগন্ত প্রত্যাশায়
বিষের বাটি চুমুকে চুমেছি গরল পিপাসায়।
যাতনার নেশা যতদিন জেগে সমস্ত সত্ত্বায়-
পদাতিক কবি পথ খুঁজে চলে পথিকের কবিতায়।।
-------------------------------------------------