আবার যদি মেঘ হই কোন দিন
বৃষ্টি ঝরাই শাল পাকুড়ের বনে
রৌদ্র তখন লুকিয়ে আমার বুকে
ঝঞ্ঝা-নিনাদ বাজবে ক্ষণে ক্ষণে
মন খারাপের হঠাৎ আদর এসে
বসবে যখন চুপটি চোখের কোনে
কপোল তখন ভিজবে অনিঃশেষে
স্পর্শ কাতর উষ্ণ লোরের সনে
অনভ্যাসের এই তো সবে শুরু
হঠাৎ করে ফুরিয়ে এলো বেলা
বুকের ভেতর অচিন দুরুদুরু
গুমরে ওঠে ঝাপসা ছেলেবেলা
ইকিড় মিকিড় কিংবা লুকোচুরি
এখনও সেই রাইকিশোরী তুই
ছড়িয়ে পড়া শিমুল তুলো ঝুরিঝুরি
উড়িয়ে নিয়ে তোকেই যেন ছুঁই
এখন আমি— দিব্য কামুক
যেমন খুশী ছোঁয়াচ দিতে পারি
তালুর ওপর চিবুক রেখে ভাবুক
ফ্রক ছেড়ে তুই তখন সবে শাড়ি
এখন আমার ছড়িয়ে পড়ার
জড়িয়ে নেওয়ার তীব্র প্রতীক্ষা
সময় কোথা— মূর্তি গড়ার;
চক্ষু মোছার নরম তিতিক্ষা
মাথার ওপর আউল বাউল
বোকাসোকা শরত কালের মেঘ
ভিজিয়ে দিলো মিহিন শাড়ি- হঠাৎ কেন!
ও কবি- তুই একটা কিছু লেখ
কি লিখি আর, কি লিখি বল
সোহাগ আদর মান অভিমান
প্রবাস কথা কিংবা প্রেমের ছল
নয়তো লিখি— তোর দীঘির জলে
এই অধমের টাপুর টুপুর স্নান…!!