এই দুনিয়া বদ্ধ খোঁয়াড় অন্ধ আস্তাবল।
চাগিয়ে লাগাম হাঁকছে পিছে- চলরে আগে চল-
জোয়াল টা তোর পরশ পাথর
জান লাগিয়ে কাট রে আঁচড়
আচম্বিতে মিলতে পারে সোনার মাকাল ফল।
কপাল জোরে গোপাল মেলে; কথার কথা নয়
পাওয়ার থেকে হারানো টা ভীষণ ভয়ের হয়-
খুদের কনা আগলে বুকে
উদোম বাঁচা বাঁচার সুখে
বন্ধ্যা কপাল জং ধরা তালা- ভাগ্যের অপচয়।
তালার চাবি কার হাতে, আর ঘোরায় চাবি কে!
ঘানীর ঘোরে ঘুরছে মানুষ, তেল নিংড়ে নিয়েছে।
ছোবড়া গুলো উড়ছে হাওয়ায়;
দু-মুঠো ভাত পাওয়ার আশায়-
ন্যাংটোরা সব ফেউ এর পিছে মিছিল জুড়েছে।
মিছিল যখন পৌঁছে গেছে রাজ প্রাসাদের সিং দ্বারে
উড়িয়ে নিসান রাজ প্রহরী হাঁক দিয়াছে- হারে রেরে রেরে-
তফাত হটো আবর্জনা আস্তাকুড়ের জীব-
আবির্ভূত মহারাজন-! রাজকীয় ক্লীব!
স্মিত হাস্য সম্ভাষণে- বেরোজকারি কলজেটাকে আচ্ছে দিনের স্বপ্নে দিলেন মুড়ে।
হাড়হাভাতে পাকস্থলী ভাতের মতোই স্বপ্ন হজম করে
রাত উজাগর উশর স্বপ্নে! স্বপ্নে কি আর ক্ষিদার জ্বালা মরে!
রুক্ষ নয়ন দৃপ্ত চরণ ক্ষিপ্ত শ্লোগান ছাড়
কাঁধের ওপর হাতটা রাখ, মিছিলে লোক জোড়
আওয়াজ তোল- মন্দির নয়- মসজিদ নয় – চুল্লি কিংবা গোরে
মরার আগে একটাই দাবি- ভাতের গন্ধ উছলে পড়ুক ভুখা মুখের ভিড়ে।।