ভাল আছো??
বলব বলেও হয়নি বলা
এই টুকুনিই কথা—
তাই লিখি এই চিঠির পাতায়
হাবি-যাবি যাচ্ছেতা হায়
আবোল তাবোল কথায় কথায়
ঝলমলে ও উচ্ছলতায়
রঙিন এবং একান্ত সে ব্যক্তিগত
রোজ প্রতিদিন বিষাদ যাপন।
এই যে আমার বেলুন শহর
বাড়ছে তারও আনাচ কানাচ
হিরণ্ময়ের মতো
এইটুকুনই নষ্ট মাণিক
লুকিয়ে ছিল একটু খানিক
বেড়ে বেড়ে অনেক খানি
অন্য রকম ক্ষত।
আমার ব্যস্ততাতে আড়াল খুঁজি
আড়াল হলেই একা
নকল বুঁদির কেল্লা গড়ি
আমি সে ও সখা
তারপরে হই আবার একা
এক্কেবারে একা
যেমন ফাঁকা ফুলদানী টা
কুলুঙ্গিতে রাখা
সোম-টু শনি সময় গোণা
শনির থেকে সোম
লাস্য মুখর দুপুর রাতে
ব্যাক টু এলোন হোম।
খাটের সাথে, লেপের সাথে
কিংবা মেঝের ধুল
টিপের সাথে লেপটে থাকা
অলখমালা চুল
শার্টের থেকে গড়িয়ে পড়া
আলগা বোতামটায়
জড়িয়ে থাকা হাতের ছোঁয়া
আলগা দেওয়ালটায়
টিকটিকিটাও তাকিয়ে থাকে
প্রেমিক প্রেমিক ভাব!
না কি সেও তারিয়ে চাখে
বিষণ্ণতার ভাপ—!
স্নানের ঘরে একলা মিরর
সে কি রাখে মনের খবর!
অথচ যেই চোখ পড়ে যায়
মনিটরের স্বচ্ছ কাঁচে
উপচে পড়ে এরর ম্যাসেজ
উটকো এমন আতিশয্যে
হঠাৎ যখন গোলায় মাথা
টনটনে জ্ঞান তখনও ঠিক
পথ রুখে দেয়, পা রুখে দেয়
চৌকাঠে দেয় কাঁটার বাধা।
আচ্ছা তুমি বলতে পারো
রাত্রি কত? বাইরে এবং
মাথার ভিতর!
সুবোধ তেমন ছিলাম না তো;
ছিলাম কিছু উদ্ধত আর—
ঈষৎ খানিক ইতর ইতর।
বিশুদ্ধ এক জন্ম শাপে
শঙ্খ লাগা সাপের মতো
জড়িয়ে থাকা তোমার সাথে
রমণ কাঁথায় শুইয়ে রাখি
ইচ্ছে এবং অনিচ্ছেরও
মাসকাবারি হিসেব নিকেশ।
তন্তুবায়ের তাঁতের মতো
উদযাপিত একঘেয়েমির
একান্ত এই বৃক্ষ রোপণ
অনেক বৃষ্টি, অনেক প্লাবন
উষ্ণতাকে কমিয়ে আনে
অতঃপরে দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থে
শুধুই- ব্যবচ্ছেদের চরণ বাড়ে।
আমারা এখন সেলাই শিখি
নিপুণ হাতে নকশী কাজে
সাজিয়ে রাখি ড্রয়িং রুমে
ডিভান, সোফা- বেতের মোড়া
কিংবা সেপাই, মত্ত হাতি
নয়ত টিনের খেলনা ঘোড়া;
আদর করি, হাত বোলাই
তালুর ওপর চিবুক রাখি
তাকিয়ে থাকি
ঘোর লাগে
চুমুও খাই, খাওয়ার মতো
চেটেপুটে;
খাদ্য খাদক পিরামিডে
টিকে থাকার- জোর লাগে।
জোরও লাগাই, জলও যোগাই
নব্য নতুন উদ্ভিদে
বৃক্ষ হওয়ার উদ্দীপনায় তার ভেতরেও
সূর্যালোকের খুব খিদে—
এখানে তো আকাশ নেই;
একটু ভালো বাতাসও নেই
কিন্তু; এসব সহজ লভ্য
আন্দামানে কাশ্মীরে
পাহাড় চড়ি, ডুবকি লাগাই
উদযাপিত তসবীরে-
আমরা এখন ভালোই থাকি
রঙচঙে ও রাংতা মোড়া
ধর্মেও থাকি, জিরাফেও থাকি
মুখর এবং মুখ চোরা—।।