রাত্রি তখন তৃতীয় প্রহর চৌরাস্তার পড়ন্ত যৌবন
চুপটি শুয়ে বিষুব রেখায় নিরীহ সরল কোন
ডাকছে প্যাঁচা হাঁকছে শেয়াল কাঁদছে ঝিঁঝিঁ পোকা
ভাসছে শহর গন্ধে জোয়ার বিশ্রী টোকা টোকা।
সর্বজনীন নর্দমাটায় ঝুপসি আঁধার ঢাকা
ল্যাম্পপোস্টটা একলা জেগে, বাদবাকি সব ফাঁকা।
কাক জোছনায় ট্রাকের শরীর ঘুমন্ত ড্রাইভার
ছাতিম তুলোয় কামের আবেশ নিষিক্ত ফাইবার
আকাশ ছোঁয়া ক্রেনের মাথা থমকে টেরেস ফাঁকে
হাওয়াই জাহাজ হারিয়ে গেল পায়রা ঘুলির বাঁকে।
বাত পতাকা মুষড়ে খানিক সরীসৃপের মতো
ফুসফুসে তার ধোঁয়ার আদর কুষ্ঠ রোগের ক্ষত।
পেন্ডুলামের দোলন গতি মাপছে নাড়ীর হার
কাঁপছে হাপর হাঁপের টানে বাড়ছে বুকের ভার
হাতের মুঠোয় মুঠোফোনের সুদৃশ্য বাইলেন
বাংলা হরফ ত্রিকোণমিতির ব্যর্থ বিটোভেন
ঝাপসা চোখে লিখছি ঝুঁকে দ্ব্যর্থ দেওয়াল লিখন
হাড়গিলে সব যন্ত্র দানব প্রেমিক চিকন চিকন
দেশান্তরী ছাতার পাখী পুনর্বাসন সুখে
রঙ বেরঙের উল্কি আঁকে জোকার পানা মুখে
উনপাঁজুরে দুঃখ জমে সূক্ষ্ম প্রেমের দ্বারে—
আধ খাওয়া চাঁদ আটকে থাকে টেলিগ্রাফের তারে…।।