বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে
ছোট্ট খুকুর আঁচল
মুচকি হেসে শুধায় তাকে
পরবি কি তুই কাজল?
আয় আয় আয় আমার সাথে
ওই পুকুরের পাড়ে
জারুল শিমুল শিউলি দলের
আবছা সবুজ আড়ে
লুকিয়ে সেথায় দস্যি সে এক
মেঘ বলে সবে তাকে
রাগ হলে তার- মুখ বেঁকিয়ে
বিচ্ছিরি হাঁক ডাকে—
তাই বলে ওকে ভয় পাস না
দস্যিপনা দেখে
বরং বলিস সাজিয়ে দিতে
কাজল কালো চোখে…
অতঃপরে— তুই- আমি- মেঘ-
বন্ধু হবো বেশ
আসব ঘুরে অনেক দূরে
তেপান্তরের দেশ—
বলল খুকু— না, যাব না
তোমার সাথে আড়ি;
মা বলেছে— যাওয়া নিষেধ
অচেনা দের বাড়ি।
কি যে করো! ভাল্লাগেনা
সারাটা দিন বন্দি ঘরে
বারণ খেলা; বাইরে যাওয়া
শুধুই তোমার তরে—
তার'চে বরং বারান্দা'তে
গল্প করি এসো
চুপ চুপ চুপ, মা আসছে
একটুখানি রোসো …
মেঘকে তুমি দস্যি বলো
তুমিই বা কম কিসে?
ভিজিয়ে দিলে অমনি কেন
খিলখিলিয়ে হেসে!
আমার যদি ঠাণ্ডা লাগে
জ্বর যদি হয় শেষে
নালিশ দেব বাবার কাছে
কান'টা দেবে কষে…
জানো; বাবা কিন্তু ভীষণ রাগী
এমনি তে ভাব ভোলা
তাও বলে পিট্টু দেবে; ছড়ি দিয়ে
ওই দেখ—
ওই ওখানে তোলা…
বৃষ্টি বলে, যাঃ মিথ্যে কথা;
তাই কখনো হয়—
তোমার বাবা বৃষ্টি বিমুখ!
কক্ষনো তা নয়—।
মানছ না তো! আসুক সময়
অফিস ফেরত কালে
ভিজিয়ে দিও ইচ্ছে করে
পান্না ধোয়া জলে
ক্লান্ত বাবা! গোমড়ামুখো!
বৃষ্টি ভেজার পরে
হাপুস নয়ন জড়িয়ে বুকে
উঠবে হেসে ধীরে
গুজ গুজ গুজ ফিস ফিস ফিস
এই বড় চোখ করে
শুনেই খুকু তারস্বরে
কান্না দিল জুড়ে…।।