খান্তা পিসির হরেক বাতিক নেই কোন চাল চুলো।
চুল গুলো তার শনের নুড়ো; দাঁত গুলো সব মুলো।
খাটা খাটনি বারটি মাস-
পরের ঘরে সদাই আবাস।
সবার গালিই হজম করে; মনটা ভীষণ ভুলো।
চিল চিৎকার সকাল বিকাল গলার পারদ তুলে-
পরক্ষণেই গুনগুনিয়ে গানের কলি মনের আগল খুলে।
কখন রাগে কাঁপছে বুড়ি
কখন আবার দিচ্ছে তুড়ি
আবার কখন মিষ্টি কথায় কাঁদছে ফুলে ফুলে।
চোখের জ্যোতি কবেই গেছে, চামড়া গেছে ঝুলে-
ঘর সংসার সোহাগ আদর সবই গেছে ভুলে।
বাড়ির যত পুঁচকে সোনা
তারাই পিসির আপন জনা
তাদের নিয়েই আছে মেতে কানা মাছি খেলে।
মালা জপে সন্ধে বেলায়, সকাল বেলায় পূজো।
দিনে দিনে বাড়ছে বয়স, হচ্ছে পিসি কুঁজো।
সেদিন পিসি সন্ধে বেলায়-
একলা গেল গাজন তলায়-
এদিক সেদিক চোখ চারিয়ে খুঁজতে নিজের কুঁজো।
সন্ধে বেলায় গাজন তলায় জ্বলজ্বলে দুই আলো-
আলোক দেখেই খান্তা পিসি অমনি ভিরমি খেল।
জলের ছিটা পাখার বাতাস-
দিতেই তাহার কাটল আয়াস।
দেখল পিসি; দাঁড়িয়ে আছে তাঁরই পোষা হুলো।