বৃষ্টির গায়ে বৃষ্টি’কে ঝরতে দেখে
ঝর্নার যখন গা শিরশির করে উঠল
শিশিরও সর সর করে সরিয়ে নিলো চোখ
চোখের আর দোষ কি বল!
চেয়ে থাকতে থাকতে কেমন যেন—
বিষাদ নেমে আসে; বিস্বাদ লাগে
বিস্বাদ বলতে গিয়ে মনে পড়ল
কাঁচা খেজুর কুলের কথা
একটা কঞ্চির ভেতরে পুরে
আর একটা দিয়ে চেপে দেওয়া—
ফটাস করে বেরিয়ে যেত
যেমন বেরোয় মুঙ্গেরি পিস্তল থেকে
পিস্তল আবার কি! মেশিন!
বল মেশিন
সব কিছু কেমন সহজ করে দেয়!
হাতের মধ্যে থাকলে
বুকের মধ্যে গরম হয়
গরম ব্যাপারটা আবার বেশ গোলমেলে
বিশুদ্ধ অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝ না হলে কি আর
পৌরুষ হয়!!!
হুঁ হুঁ বাবা—
পৌরুষ ছিল সেই পাণ্ডু রাজার
ছয় ছয়টা… যাকগে যাক…
গা গুলানোর কথা হচ্ছিল তো তাই…
তা না হলে ওসব বড়লোকি কেচ্ছায়
কার কীইবা আসে যায়…
বমি পেলেও তো গা গুলায়-- না কি?
সব বমি তো আর এমনি এমনি পায় না!
হেঁ হেঁ হেঁ— ঘুঘু দেখেছো, ফাঁদ দ্যাখনি!
ফাঁদের কথায় মনে পড়ল
মোবাইলের সেই ভিডিওটা—
আরে যেটা ভাইরাল হয়ে গেল
কি লজ্জা! কি লজ্জা!
আমার কাছেও তো ছিল
অনেক বার দেখছি, আর…
যাগ-গে যাক
পরে তো শুনেছি সুসাইড করেছে--
ওইরকমই হয়…
অত পুড়কি কিসের শুনি!
আজকাল সুসাইড কেশ বেশ কমন হয়ে গেছে
ফেল করলেও সুসাইড,
আবার পাশ করলেও- সুসাইড
ওই একটা ফিলিম হলো না…
রঞ্জিত মল্লিকের মেয়েটাকে কিন্তু হেব্বি মানিয়েছিল
কি যেন নাম টা?
হ- হ- কোয়েল, কোয়েল,
শালা কোয়েল পাখি আবার বহুত ঢ্যামনা-
এইটা আবার গালাগালি হয়ে গেলো না!
ধুর! পাবলিক এখন খিস্তিই খায়—
ডাস্টবিন খোঁজে ভবঘুরে
আর চাকরী প্রার্থী চেঁচায়।।