এই তোকে বলি লক্ষ্মী আমি
এই করি দূরছাই
সরে গেলে তুই এতটুকু দূরে
তক্ষুনি চোখে হারাই
বৃষ্টির নামে তোর নাম হোক
বর্ষা কিংবা মেঘ
গম্ভীরা তুই হতেও পারিস; অথবা
সুপ্রিয় ডাল-লেক!
চিনে বাদামের খোসা গুলো ফেলে
তোর হাত ছুঁয়ে বলি
অতটা লাজুক না হলেও চলে
বুঝলি আনারকলি!
দূর দূর যত পুরনো ওসব
নাম হবে আধুনিক
চকমকে হবে ঝকমকে হবে
ঠিক যেন স্পুটনিক!
কি বললি!
বিজ্ঞের মতো অজ্ঞতা ঢেলে
আচানক মালামাল!
কোমরের ভাঁজে নিবিড়তা খুঁজে
প্রেমিকেরা বেসামাল!
ঠোঁটে ঠোঁট রেখে শিহরণ হোক
পিটুইটারিতে গেম
ফেরমেন ঘ্রাণ উপচে পড়ে
আলজিভে ধুম প্রেম
অজুহাত নয়, ছুতোনাতা নয়
পানসে কবিতা বাদ
শরীরে শরীরে হোক মাখামাখি
সব শরীরের সাধ—
এতটা সরল, এতটা সজীব
এতটাও- প্রেম নেই—
কিছুটা আগুন, কিছুটা ফাগুন,
কিছুটা চলনসই—
আমারা এখন অবুঝ মানুষ
অবাধ্য পুরুষ নারী
এই ধরো হাতে হাত ধরে আছি
এই হোল ছাড়াছাড়ি
আসলে কোথাও যাওয়ার তো নেই
একঘেয়ে কানাগলি
বিছানা চাদরে বালিশে পাপোষে
নির্বিষ ঢলাঢলি
তারপরে কোন শপিং-মলে, বাবু-ঘাটে রেস্তোরাঁ
চুপিসারে কবে হয়ত মনের ভুলে
অকারণ কিছু ভালবাসা
অকারণে কথা বলে...
আসলে সময় হারিয়ে সে যায়
আপোষের নাগপাশে
পুরনো ছাতারা যেভাবে হারায়
ধর্মতলার বাসে-
এখানে মানুষ খুব কাছাকাছি
খুব চেনা তার ঘ্রাণ
এখানে মানুষ রঙ বাছাবাছি
দূর দূর আপ্রাণ
এ শহর রোজ রঙ বদলায়
রোজ হয় হোলি খেলা
এ শহর রোজ মন ভাঙে হায়
অহরহ কালবেলা
কখনো আদর , কখনো বা প্রেম
কখনো সে অভিসম্পাত
কখনো বা শুধু অভিমান জমে
হয়তো জলপ্রপাত...।।