এই শিশিরের পথ বেয়ে
কুমুদ ফুলের মত সাগরের কাছে
পৃথিবীর আদি প্রান্ত মুখ
সামান্য গৃহ সুখের লাগি
হাঁ করে আছে –
ছাতিমের ঘ্রাণ – যেন বুকের ওপরে
অপরূপা নারী –
এলো চুল তার দিয়েছে মেলে
ঠোঁটে – বিষণ্ণ আলোর মাঝে
আদিগন্ত গভীর গভীরতর রামধনু ছায়ায়।
এমনই নিবিড় ও গোপন পরিচয়
ছিল শুধু কবিতার সাথে –
মুখ দেখে গেছি তার –
পলক পড়েনি চোখে
এমনই শীতের রাতে নিঝুম নীরবতায়।
এই সব কথা – যেন হিজলের গাছ
মাটির রসের থেকে বশ্যতা শুষে
বিকেলি রোদে গোধূলি আলোর মত
রুপোলী নির্যাস –।
আমাদের পৃথিবীর প্রতিদিন কাটে
শীত ভাবনায় –
অথচ, যারা মাটির কাছাকাছি থাকে
আঙুলে আঙুল ছুঁইয়ে দেখি
আমারই প্রিয়ার মত –!
যেন কত কাল –
তোমারই হাত ধরে আছি –।
এমনই প্রত্যয় –
অথবা ক্ষণিক সুখের লাগি
ক্ষত উৎস মুখ খুঁড়ে খুঁড়ে
এমনই শীতের রাতে হৃদয়ের কাছে
খোলা চিঠি – তোমার কবিতা হাত
যেন শালিকের ডানা –!
কতকাল –
প্রিয় শরীরের ওম দিয়ে
ঢেকে দাও শীত জ্বর –
তোমার কবিতা হাত
যেন শালিকের ডানা –
অথবা ঝর্ণা জল!
বহুকাল এমনই প্রশান্তির কাছে
নাব্য ভোরের মত রৌদ্রী শয়নে
শুয়ে আছি – যেন সুনির্মল
সামান্য গৃহ সুখের লাগি।।