দীর্ঘতর ছায়া –
          জলের ভেতরে শুয়ে –
      তাল- নারিকেল- রাধাচুড়া।
      বিকেলের শেষ রোদে ভিজে —
    কুঁদ- খেজুর – আলশের কাছে
খোলা চুলে অভ্র কুচি তারা গুঁজে নিল।  
          সমস্ত সকাল বিকেল –
একটা নতুন আলোর জন্য ব্যর্থ প্রত্যাশা!

কখনো কখনো কিছু অদ্ভুত ইচ্ছে হয়!
        এখন যেমন মনে হচ্ছে –
      সকলকেই নাম ধরে ডাকি –
ওই যে বাচ্চা মেয়েটা ভেংচি কাটল –
          ওর নাম – টিয়া।
           ওর কাছে এলে –
   এই একুশ বসন্ত পেরনো আমি
      মুহূর্তে চারা গাছ হয়ে যাই।

        ওর বোনের নাম ময়না –
             কাল বিকেলে –
কি মিষ্টি – আধো বোলে বলেছিল –
        “ওই – তোকে মারব –!”
     ওর হাতের পরশ টুকু পেতে
হাজার বছর পরেও ভূমিশয্যা চেয়ে নেব।  

           আর ওই যে মেয়েটি –
          ওর নাম জান! – জুলি।
         কি মিষ্টি আর তুলতুলে।
       ওদের মুখের আলোর কাছে
        নিজেকে উজাড় করে দিই –
       একটু খানি ভালবাসা পেতে,
            শুধু ভালবাসা নয় –
  সামান্য খুদের মত স্নেহ টুকু পেতে
    এই একুশ বসন্ত পেরনো শীর
       লুটিয়ে দেব বৃষ্টির কাছে।

             দীর্ঘতর ছায়া –
          দীঘির ভেতরে আমি –
     আমার ভেতরেও আরেক দীঘি—
         ওদের প্রগাঢ় বন্ধুত্ব!
                  অথচ –
   ওরা রেগে যায়! – অভিমান করে!
এই তো সেদিন কাঁদিয়েছে – সারা রাত!
      ভিজিয়ে দিয়েছে অগাধ স্নানে।

          ওদের কি দোষ বল –
  আমার স্বপ্নে তুমি বেড়াতে এলে –
      বাইরের দীঘির মুখ ভার!
            আর, না এলে –
           ভেতরের দীঘির –!

জানো! এখানে আমার না এক বৌদিদি আছে –
ওর নাম –
             শেফালী –
      শেফালী ফুলের মতই।  
এই একুশ বসন্ত পেরনো শিশুটি র
শত আবদার – উৎপাত সয়েছে!
  এ স্নেহের কাছে যেন চিরদিন
     এমনই শিশু হয়ে রই।

পৃথিবীর যাবতীয় ছন্দোবদ্ধ ভাষায়
     লিখে রাখি মুগ্ধ বোধ টুকু –
      - যেন পাকা লিচু –
হৃদয়ের কাছে নিয়ে শুয়ে আছি
ডালিম ফুলের মত মায়া রোদ্দুরে।
-------------------------------------------------------------------------------------------------
পুরানো ডায়রি থেকে আরও একটি কবিতা, রচনা কালঃ ০৮/১২/২০০৩।
সদ্য বিশ পেরিয়ে একুশ, হয়ত একটু আবেগী লেখা, কিছুটা ছেলে মানুষী ও আছে- তবুও হৃদয়ের খুব কাছাকাছি!