এই দিলাম ছুঁয়ে –
চোখ তুলেই দেখ অপরিচিতা
এই নিলাম নিয়ে –
ছোঁয়াচ টুকু পাওয়ার ছুতা!
ব্যস্ত পায়ে পা দানিতে –
নামলে পথে নরম রোদে;
তোমার হাতের ছোঁয়া –
লব্জা বাসের হাতলটাতে
এই দেখো সেই নরম স্মৃতি
লুকিয়ে আমার রুক্ষ হাতে।
আলতো ছায়া পড়ছে যেথায়
ঘাম ঝরানো দূর্বা ঘাসে
রুমাল ছোঁয়ায় মুছিয়ে নিলে
শিশির কনা নাকের ওপর; মুচকি হেসে
সুমিষ্ট এক গন্ধ হঠাত
জলপ্রপাত উপচে এলো
আদর ঘন সুখের পরশ
গভীর ছোঁয়ায় ছুঁইয়ে দিলো
যে ছোঁয়াটা একান্ত ওই লাজুক মুখে
এক লহমায় দুলিয়ে দিল আমার বুকে।
ভ্রূভঙ্গিতে তড়িৎ হেনে –
রুষ্ট চোখে যেই তাকালে
ইচ্ছে ফড়িং হঠাত যেন
হাওয়ায় প্রেমের খবর পেয়ে
নিশি ডাকের জবাব দিলে-
ক্যাবলা মুখের রিকশাওয়ালা
তোমায় নিয়ে ছুটছে তখন– তেপান্তরে
ছুটব! নাকি দাঁড়িয়ে রব!
খুব পড়েছি আতান্তরে –
ঠিক তখনই রুমাল তোমার
ছোট্ট উড়ান, বিশ্ব জয়ের নিদান দিলে;
মধ্যমাতে জড়িয়ে নিয়ে
ঠোঁট ডুবিয়ে গভীর চুমু- তার ঠোঁটে –
অল্প হলেও কল্পনাতে
এই আদরের ছোঁয়াচ পেলে!!
----------------------------------------------------------------
প্রথম দুটি স্তবক আগের দিনে লিখেছিলাম, শেষের তিনটি আজ লিখলাম।