আম জনগণ ভাগের মা!
গঙ্গা পায়না মোটে।
উন্নয়নের দু-চার ফোঁটা-
রঙ বেছে তাই জোটে।
মানুষ তো নয়! চতুর্দিকে-
রঙ ই শুধু ঘোরে।
রঙের নীতির রাজনীতিতে-
মানুষ যাচ্ছে হেরে।
ভাগ বাঁটোয়া চলছে শুধুই-
আমরা ওরা করে।
জাবর কাটায় কাটছে প্রহর-
ফালতু কথার ভিড়ে।
আমার মাথা আমিই বেচি-
জামার কলার তুলে।
প্রশ্ন করার অভ্যাস টা-
কবেই গেছি ভুলে।
মসনদে যে আছে বসে -
আমার মনিব নয়।
জবাব দেওয়ার দায় তো তাহার-
সে দায় আমার নয়।
চাষের মাঠে, কারখানা তে-
আমরা যারা খাটি।
দেশের সেবায় ঘর্ম ঝরাই-
সিক্ত দেশের মাটি।
আমার শ্রমের জবাবদিহি-
আমার খোদার কাছে।
বিবেক তবে রঙের ভিড়ে-
বিকিয়ে কেন আছে!
প্রশ্রয় নয়, প্রশ্ন কর-
শাসক রঙের মুখে।
নইলে সবাই পুড়তে থাক-
বিভেদ খেলার সুখে।
আজকে শাসক কাল বিরোধী-
চক্রাকারে ই চলে।
গাছের গড়ায় খোঁটান দিলেই-
পুরুষ্টু ফল ফলে।
প্রশ্নবাণের নিড়ান খানা-
ভুলেই যদি থাক।
আগাছারাই দাপিয়ে বেড়ায়-
মাথায় তুলে রাখ!
বছর শেষে হিসেব মেলাও-
মাকাল ফলে দেখ!
আবার নতুন মাকাল লাগাও-
কিচ্ছু কি আর শেখ!
বছর বছর রাজার হালে-
রাজ করছে ওরাই।
রক্ত চোখের ভ্রূকুটি তে-
আমরাই শুধু ডরাই!
অনুগত হতেই পার-
ইচ্ছে সেটা তোমার।
উচ্ছিষ্ট কুড়িয়ে খেয়ো-
লাগিয়ে গলায় কলার।
পুচ্ছ নেড়ে তারই পায়ে-
ঠুকতে থেকো মাথা।
তোতার মত বোলতে থেকো-
তার শেখানো কথা।
তার সুরে তেই গাইতে থাক-
তারই জয়ধ্বনি।
(অন্যথাতে) চামড়া তুলেই বাজাবে ঢাঁক-
বাজনা বিসর্জনি।
ভোটের মাঠে প্রতিপক্ষ!
মিল যে তলে তলে।
চরিত্রটা একই রকম-
শাসক -বিরোধ মিলে।
দাবার খেলা খেলবে ওরা-
সাদায় কালোয় মিলে।
আমরা বোড়ে মরব প্রাণে-
চালের গণ্ড গোলে।
অনেক হোল ঝাণ্ডা বওয়া-
রঙিন মুখোশ পরে।
একবারটি কণ্ঠ ছাড়-
স্বাধীন হবার তরে।
বজ্জাতি আর দলাদলি ছেড়ে-
মানুষ হোয়ো আগে।
রক্ত হোলি খেলার আগে
বিবেক যেন জাগে।
সবার চেয়ে মানুষ দামি-
কিচ্ছু টি নেই আগে।
দোহাই তোদের! মনুষ্যত্বে-
দাগ যেন না লাগে।
-------------------------------------
রচনাকালঃ ২৮/০৯/২০২০