এক সে কুকুর সাঁঝের বেলায় ওই ও দিকের বদ্যি পাড়ায়-
একলা সেথায় দাঁড়িয়ে ছিল বুড়ো শিবের শেওড়া তলায়।
নেত্যহরি চোলাই খেয়ে-
আসছিল খুব আওয়াজ দিয়ে
অমনি কুকুর ভূতের ভয়ে চোঁ চোঁ ছুটে হারিয়ে গেল হাওয়ায়।
আবার সে দিন চোখ পাকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল রাতে-
গলির মুখে বাঘের মত জ্বলজ্বলে সাক্ষাতে।
কারোর বুকে বল কি আছে
ঘেঁষবে রাতে গলির কাছে!
তবে- পাগলা জগায় দেখতে পেয়েই ছুটল সে পশ্চাতে।
সকাল সকাল মদন খুড়ো পানের পিকটি ফেলে-
হাঁ করে সে বসেই ছিল- চোখ কপালে তুলে।
ঘেউ করে কেউ আসল ছুটে-
রেগেই খুড়ো পড়ল টুটে-
দস্যি কুকুর পালিয়ে গেল বেড়ার ফাঁক টি গলে।
ওই কুকুরেই সেই দুপুরে পোস্তা দিঘির কাছে-
একলা পেয়ে মোমিন মিয়ায়; ছুটল তাহার পিছে।
অমনি মিয়া কাঁপিয়ে পাড়া-
যেই না তারে করলো তাড়া
লেজ গুটিয়ে পগার পারে পালিয়ে তবেই বাঁচে!!
এক সে নেড়ি প্যাংলা কুকুর বে-পাড়াতে থাকে
সেদিন দেখি গলির মুখেই বাঘের মতোই ডাকে
আমার পাড়ার বাঘেল কুকুর
কাশছে ভয়ে খুকুর খুকুর
আমায় দেখেই সাহস পেয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে ভাগে।
_____________________________________________________________
কবি প্রিয় মোঃ মমিনুল ইসলাম এর গত কালের রম্য কবিতা “কৌতুক কাব্য-১” এর মন্তব্যে এই কবিতার চতুর্থ স্তবক টি জাস্ট মজার ছলে লিখেছিলাম…… তার পরে কুড়িয়ে বাড়িয়ে আরও চারটি স্তবক! এই লেখা টি তাই প্রিয় কবিকে উৎসর্গ করছি।