ও মেয়ে—
তুই একলা থাকার মন্ত্রণা নে শিখে
ফেরোমেন ছড়াস না তোর অচিন বারান্দায়
বুকে তার বিষাদ কিছুই রাখিস না তুই লিখে
যে পাখী উড়তে গেছে ভুলে-
এই ভর-গোধূলি সন্ধ্যায়…
প্রতিদিন জীবনযাপন খামখেয়ালীর একঘেয়েমি
ঘেরাটোপ টপ্কে যাওয়ার দুঃসাহসের কমজোরিতে
এখনো সোহাগ খুঁজিস বদ মেজাজি পরপুরুষে!
ভুলে যা এসব কিছুই খাঁচায় পোষা
পোশ মানানো শর্তাবলী
লিখে ফেল নিজের সাথেই
নিজের মতো নির্বিবাদী পদাবলী।
আজও তুই অপেক্ষাতে—!
খুলে ফেল রাত পোশাকের শিফন সুতো
আয়না কে দে চুমো
এ কথা জানবে না কেউ, মানবে না কেউ
নিজেকে নিজের মতো ছোঁয়ার মতো একটু ছুতো—
এভাবে রাত্রি হলে- ক্লান্তি এলে- এবার না হয় একটু ঘুমো;
নতুবা, চানের ঘরে সিনান সেরে একলা দুপুর
ছুঁয়ে দে দেওয়ালটাকে—
যেমন ছোঁয়ে জল বিষুব অক্ষ রেখা
উড়ে যাক পরাগ রেণু সৌর কণায় সিঁথির সিঁদুর
এভাবেই নিজের কাছে নিজের মতো বাঁচতে শেখা—।