দ্বিপ্রহরের গ্রীষ্ম দুপুর—
ভুবন জুড়ে বইছে যখন তপ্ত লহর
ঝিমিয়ে তখন আমার শহর
হঠাৎ আমার হারানো সে নাম টি শুনে—
জুড়িয়ে গেলো কর্ণ কুহর!
“টু-পু-র”—
তাকিয়ে পিছে দেখি তাঁকে
চশমা মোটা ফ্রেমে—
চিলতে হাসি আলতো লেগে
ঠোঁটের কোনে থেমে।
তুমিই তবে ডাকলে আমায়
হারানো নাম ধরে!
সত্যি বলি- ভীষণ অবাক
কেমন গহীন ঘোরে!
চেনা চেনা লাগছে তোমায়
পড়ছে না নাম মনে-
কেমন করে চিনলে আমায়
কোন সে রেখা গোনে!
আবার দেখো- হাসছো কেন!
ধাঁধাঁর জবাব দাও
এমন করে গুলিয়ে দিয়ে
কোন সে মজা পাও!
আচ্ছা ছাড়ো, না হয় নাই বা দিলে
তোমার পরিচয়-
মধ্য দুপুর ভীষণ রোদে
আলাপ অনিশ্চয়।
চলো- একটু বসি গাছের ছায়ায়
আসন পাতা যেথায়
স্মৃতির পরত খুলেই ফেলি
পুরনো সব কথায়।
ইনিয়ে বিনিয়ে কত্ত কথা
ঘণ্টা খানেক পার
তুমি বললে- এবার উঠি, আসব না হয়
আসছে সোমবার।
হলুদ ট্যাক্সি মিলিয়ে গেল
চোখের সামনে থেকে
তক্ষুণি ঠিক মনের ভেতর
পড়ল মনে তাঁকে—
উড়ো চিঠি আসত ডাকে
প্রতিটি সোম বারে
খামের ভেতর আতর ঢেলে
আদর অকাতরে!!