আমার ঈশ্বর’কে আমি আমার ঘরেই রাখি
মন্দির, মসজিদ, গির্জা… না, কোত্থাও পাঠাই না।
বলা তো যায় না,
কখন কোন উটকো মাস্তান হুজ্জত করে যাবে
আমার ঈশ্বর’কে আমি আমার ঘরেই রাখি
মন্দির, মসজিদ, গির্জা… না, কোত্থাও পাঠাই না।
হাটে, বাজারে, মুদির দোকানে, মায় শুঁড়ীখানা থেকে
আইফেল টাওয়ার—
আমার সঙ্গেই থাকে…
মন্দির, মসজিদ, গির্জা… না, কোত্থাও পাঠাই না।
বলা তো যায় না,
কখন কোন উটকো মাস্তান হুজ্জত করে যাবে।
ভাবাবেগে আঘাত লাগা আজকাল জলভাত
বড্ড ঠুনকো, ভেঙে পড়তে কতক্ষণ!
আমি ভীতু মানুষ, রাত বিরেতে হিসি পেলেও—
অর্ধাঙ্গিনী’কে ডাকি—
বুক চিতিয়ে মোড়ের মাথায় সরকারি বাস জ্বালাতে পারব না
আমার ঈশ্বর’কে
মন্দির, মসজিদ, গির্জা… না, কোত্থাও পাঠাই না।
বলতেই পার—
কাল যদি তোমার ঘরেই আগুন লাগে—
তো কি করবা?!
ন্যায্য প্রশ্ন…
সত্যিই তো, যা দিনকাল, লাগতে কতক্ষণ!
ভয় পেলে- আমি ঈশ্বরের শরণাপন্ন হই—
উনি বললেন— দুর বোকা, বুকের ভেতরে রাখবি…
আর যদি বুক ফুটো করে দেয়!
উনি বললেন—
ওরা তো আমাকেই ভাগ বাঁটোয়ারা করে নিলো রে—
“ন্যাংটোর আবার বাটপাড়ের ভয়”!
দুর- দুর-… এত ভাবনা কিসের পাগলা?
সেই-ই থেকে—
আমার ঈশ্বর’কে আমি বুকের মধ্যে রাখি
মন্দির, মসজিদ গির্জা… না, কোত্থাও পাঠাই না।।