ভুতু বাবুর অশথ তলায় ভিতু ভূতের কারখানা
রাত দুপুরে কান্না করে মামদো ভূতের সাত ছানা
চার কুড়িতে এটাক এসে মামদো ভুতে ধরলে টেঁসে
ছাওয়াল গুলো ফাঁসল শেষে মিউটেশনের জটিল কেসে।
উপায় তো ভাই করতে হবে দুঁদে উকিল ধরতে হবে
গচ্চা নগদ খরচা হবে একটা উপায় মিলবে তবে।
রাজ্য জুড়ে উকিল খুঁজে ঠিক মত ঠিক বুঝে সুঝে
আনবে উকিল খুবই কাজের স্কন্ধকাটা আপনি নিজে
পিটিয়ে ঢেঁড়া দিগ্বিদিকে আনল শতেক উকিল ডেকে
স্কন্ধকাটা চমকে পিলে সওয়াল জবাব করল হেঁকে
পাংশু মুখে বেজার সবে; রা সরে না মুখটি দিয়ে
এমন করে চলবে কি হায়! পড়ল সবে হতাশ হয়ে।
মেছো-ভূতে বলল তখন- ভুতু বাবুর গাছটা যখন
শুধাই চল তাকেই গিয়ে! স্কন্ধকাটা ত্রস্ত চরণ
ছুটল ধেয়ে; লুটিয়ে পড়ে চরণ তলে করলে দাবী
মীমাংসা দে..., ভাগ বাঁটোয়ায় বখরা পাবি।
ভূতের ভয়ে ভুতু বাবু সাঁঝ সবেরা এমনি কাবু
ভীষণ ভয়ে জ্বরের ঘোরে খাচ্ছে শুধু জল ও সাবু
দিন দুপুরে ভয়ের ভূতে মারছে মাথায় ভূম ঢেলা
বেঘোরে হায় প্রাণটা গেল! ভাগ্যে ছিল এই খেলা?
ভূতের ওঝা ভুতোকে তাই ভুতু বাবু আনল ধরে
ভুতো ওঝা ভয় পেয়ে যায় ভূতের ভয়ে খুব করে
ভয়ের ভূতের ভীষণ ভীতি ভুতোর যেন মুণ্ড চেবায়!
ভুতো সে তাই ভয়ে ভয়ে ভাবছে মনে ভাগার উপায়
একলা মাঠে ভুতো হাঁটে ভূত ভাগানোর দূত
ভূতের ভয়ে ভীষণ ভীতু ভিরমি খাওয়ার পুত
ভূতকে ভেবে ভয়ে ভুতো- ভড়কে ভয়াল চগার
ভূত ও ভুতো দুজনে’তেই ভয়ের ভোগে পগার
ভয় পেয়ে ভাই ভ্যাবলা হয়ে ভাগলে ভূতোর ভূত
কাঁদলে ভুতু ভ্যাঁ করে তাই ভ্যাঁপুর মতো —
অদ্ভুত!! অদ্ভুত!!
============================
চগার> চলিত বাংলায় চিৎকার।