কোন পথে গেলে উত্তম হবে, বুঝতে পারছিনা,
যে পথ কোথাও গিয়ে থেমে গেছে,
নাকি যে পথের শেষ হয়না,
নাকি সোজা উপরে উঠে যাবো!
আচ্ছা! আমি যদি চাঁদে চলে যাই,
তাহলে কি জোছনা ছোঁয়া যাবে?
আমার খুব সখ জোছনাকে ছুঁয়ে দেখবো,
যেমন ছুঁয়েছিলাম প্রিয়ার গ্রিবা।
চাঁদে নাকি বুড়ি থাকে!
তবে আমার ধারণা চাঁদে খুব সুন্দরী কিশোরী থাকে,
যার যৌবন ছুঁইছুঁই,
নতুন যৌবনের দ্যুতিতে তাই এমন উজ্জ্বল আলো হয়।
শেষ হয়ে যাওয়া পথও খারাপ না,
যেতে যেতে হঠাৎ শেষ হয়ে গেলো,
সামনে খুব ঘন জঙ্গল অথবা বিশাল এক নদী।
দুইটাই অন্ধকার,
মাঝে মাঝে আঁধার খারাপ না।
নিজের ছায়াটাকে কিছুটা বিশ্রাম দেয়া যায়।
সম্পুর্ণ একা হয়ে নিজেকে জিগ্যেস করা যায়,
কিহে? কেমন আছো?
এমন একটা সময় চলে আসে জীবনে,
কেউ আসলে তখন আর মন থেকে জানতে চায় না,
আমি কেমন আছি!
আবার অনন্ত চলমান রাস্তাটাও কিন্তু মজার।
যেতেই থাকলাম,
বাঁক নিলাম, আবার যেতেই থাকলাম।
এক সময় ক্লান্ত হয়ে কোন একটা বটগাছের তলায় বিশ্রাম নিলাম।
পৃথিবীতে যতো বটগাছ আছে সবগুলাই কেনো জানি রাস্তার ধারেই হয়।
গাছগুলোকে কেন্দ্র করেই কি রাস্তা হয়েছে,
নাকি রাস্তা হওয়ার পর গাছ হয়েছে!
খুব ভাবনার বিষয়।
এখন আর ভাবতে ইচ্ছে হচ্ছেনা,
মাঠের মাঝখানে জোছনার চাদর মুড়িয়ে,
রুপকথা শুনতে শুনতে ঘুমুতে ইচ্ছে করছে।
আচ্ছা! এমনওতো হতে পারে আমাদের এই জীবনটা,
অন্য আমার একটা স্বপ্ন মাত্র,
মৃত্যু মানে নিছক স্বপ্নভঙ্গ!
#জামশেদ
#রোমেল
বৈশাখের চতুর্থ রাত, ভরা পুর্নিমা, ১৪২৬ বাংলা