মেজাজ খারাপ!
সামনে একটা রোগা পটলা কুকুর পেলাম।
দিলাম কসে একটা লাথি,
কুই কুই করে সড়ে গেলো কিছুটা দূরে।
অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে।
আমিও অবাক হলাম এই ভেবে যে, আমি কুকুরের দৃষ্টি পড়তে পারছি।
হয় আমি এখন মহাপুরুষ কিংবা কুকুর প্রজাতির কেউ।
আবারো মেজাজ খারাপ হলো।
একটা পাথর কুঁড়িয়ে পেলাম, ছুড়ে দিলাম কুকুরটার ঠ্যাঙ বরাবর।
হালকা ছুঁয়ে গেলো, তাতেই সে যে চিৎকার দিলো!
মেজাজটা আরো খারাপ হলো,
কারণ আমি এখন কুকুরটার মুখে তাচ্ছিল্যের হাসি দেখতে পাচ্ছি।
এই জন্যে মেজাজ খারাপ না যে শালা তাচ্ছিল্যের হাসি দিচ্ছে।
মেজাজ খারাপ কারণ, আমি বুঝতে পারছি কুকুরের হাসির প্রকারভেদ।
নিজেকে মহাপুরুষ ভাবার সাহস হচ্ছেনা।
আবার কুকুর ভাবতেও ব্যক্তিত্বে প্রচন্ড আঘাত পাচ্ছি।
এইবারতো সহ্যই করা যাচ্ছেনা,
হারামজাদা পেছনের পা তুলে আমার দিকে তাকিয়ে ছনছন করে মুতে দিলো।
হাতের কাছে পেলাম একটা ভাঙ্গা বাঁশ, দিলাম বেধড়ক মার।
এইবার বাছাধন টের পাবে, দিয়েছি পা লুলা করে।
নিজেকে এইবার মনে হচ্ছে মানুষ।
সিগারেট দোকান থেকে একটি সিগারেট ধরিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাটা কুকুরটাকে দেখলাম।
মেজাজ খারাপ চলে গেছে।
শান্তি লাগছে।
এখন আমি আর কুকুর না।
#জামশেদ