অলক্ষুণে তুমি,
তোমাকে নব্বই ডিগ্রি কোণা থেকে না দেখলে বৃথা যায় একঘেয়ে ক্লাসরুম।
জানালার ভাংগা গ্লাসের ফাঁকে তাকিয়ে দেখি ভালোবেসে জুটিগুলো হেটে যাচ্ছে।
আমারো কি ইচ্ছে করেনা!
ঐ জানালাটাতেই চড়ুই জুটি বাসা বানানোর চেষ্টা করে প্রতিদিন।
তাদের খড়কুটোর মতো কি আমরা জমাতে পারিনা আমাদের যৌথ স্বপ্নগুলো?
যখনই চড়ুইদের সাথে নিজেকে মিশিয়ে ফেলতে যাই,
তীর্যক এক দৃষ্টি দিয়ে এলোমেলো করে দাও।

অলক্ষুণে তুমি,
আড্ডায় যখন মশগুল থাকি চলমান প্রচন্ড গম্ভীর কোন বিষয় নিয়ে,
ফিক করে হেসে দিয়ে ভুলিয়ে দাও সব।
একটুখানি নজর হটলেই শুরু করে দাও ওসব।
প্রচন্ড আবেগ দিয়ে প্রিয় কোন গান যখন বেসুরা গলায় গাইতে থাকি,
অমন ফ্যালফ্যালে নজরে কি খুজো।
তখনই ভাবি যে মাটিতে তোমাকে ইশ্বর বানিয়েছেন,
সেই মাটিতে যদি ইশ্বর দেবী বানাতেন,
বিশ্বাস করো আমি দেবী ছেড়ে তোমাকেই দিতাম পূজো।

তুমি সামনে থাকলেই ফাটল ধরে ঈমানে,
তোমার জন্যেই ঘরে ঘরে কাফের।
তোমার জন্যেই রাস্তায় রাস্তায় ফেউ।
এজন্যেই তোমাকে বলি অলুক্ষণে।

#জামশেদ
#রোমেল
২৪ আশ্বিন, ১৪২৫ বাংলা।