বসন্তের বাতাস আমার দরজায়
দুর্বার আঘাত হানলেও
আমি আর দরজা খুলবোনা।
লাশের নগরীতে বসন্ত আমাকে ছুঁতে পারবেনা।
খুনিদের প্রেম নিয়ে আমি আর ভালোবাসার
আবেশে মুগ্ধ হতে পারবোনা।
বসন্ত তুমি ফিরে যাও,
যতোদিন রক্তের লহরে পথ ভেজা থাকবে,
যতোদিন ক্ষতবিক্ষত দেহ কুকুরের খাবার হবে,
ততোদিন তুমি এপথ মারিয়োনা।
খেয়াল করে দেখো,
প্রতিটি রাস্তায়, প্রতিটি রাজপথে
খুব প্রিয়জনের মগজ ছড়িয়ে আছে
ঘাতকদের আঘাতে।
যে মায়ের আঁচলে থাকার কথা তার সন্তানের
জন্য মমতার অশ্রু।
সে আঁচলে দেখো কোথাও থেতলে যাওয়া শরীর,
উপহার দিয়েছে মানবতার শত্রু।
সকালে ঘর থেকে বের হয়েই দেখি
বসন্ত বাসন্তী বাতাস নিয়ে অপেক্ষা করছে।
আমার গায়ে মাখাবে বলে।
আমি বললাম, রুক!
দানবের এখনো রক্ত পিপাসা মেটেনি।
ইশ্বরের টনকেও নাড়া পড়েনি।
খবরের পাতা দেখোনি নিশ্চয়,
এখনতো খবর কেউ পড়েনা,
সবাই এখন খবর জন্ম দেয়।
খবর যদি দেখতে তাহলেও জানতে,
মিছিলে আরো কতোগুলো স্লোগান যোগ হলো।
খোঁজ নিয়ে দেখো
ফাল্গুন কে হত্যা করা হয়েছে।
তার দু'হাত, দু'পা, নাড়িভুঁড়ি, মগজ ছিন্নভিন্ন
হয়ে পরে আছে মাঝপথে।
কোথাও এই মিথ্যে সংবাদ ছাপা হয়নি-
"মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় ফাল্গুনের মৃত্যু।"
#জামশেদ
#রোমেল
মাঘের শেষ দিন, ১৪২৫ বাংলা।
উৎসর্গঃ সড়ক দূর্ঘটনার বলি আমার বন্ধু "মিলু" কে।