বোবা কান্নায় মনের দেয়ালে শ্যাওলা পড়েনা
ঘাম জমেনা নিউরনের শরীরে,
অন্ধ বধূর আঙুলের ফাঁকে জমে শুধু দীর্ঘশ্বাস
জীবনের বায়ান্ন নম্বর গলিতে দিন দুপরে ডাকাত পড়ে।
অন্ধ বধূর অন্ধ চোখের পর্দার পিছনে কারা যেন নাচে
জ্বলে ওঠে সাতাইশ হাজার মোমবাতি,
প্রভাবশালী প্রভাকর অপেক্ষায় নির্জন যৌবন মন্দিরে বুঁদ হয়ে থাকে
তখন বধূর শীর্নকায় তনুতে ক্ষুধা ছেড়ে দেয় ঘুমন্ত প্রজাপতি।
শাপলা শালুক মিলনের পর্ব শেষে বিরহের বৃষ্টি নামে
তখন সন্ধ্যা নদীর হলদে নাভিতে বসে কে যেন বাঁশি বাঁজায়,
অগোছালো বসনের বধূ কলাপাতার উরুতে মুখ রেখে বলে
আমিতো বাঁধিনি চুল, তবে অবেলায় কে ডাকে আমায় ?
বাঁশি নিজের সুরে উত্তর নিয়ে বাদকের ঠোঁটে চুমো খায়
গলগলিয়ে অস্থি মজ্জা ভেদ করে বেরিয়ে আসে সাধনার শতদল,
অন্ধ বধূ ডুবন্ত তরীতে শুয়ে বাঁ হাতের তালুতে লেবুর গন্ধ খোঁজে
এ যে গন্ধ নয়, এ যে সুর নয়, এ আমার আপন শরীরের লাজুক ছল।
সমাপ্ত