সকালটা তাড়াতাড়ি হাসে আক্তারুনের চোখে
অন্ন জোগানিয়া চাচার সংসারে দিনের শুরু হয়
হাতে নিয়ে থালা বাসন আর ছাই
মরা বাপ মায়ের স্মৃতি পদ্ম সে, আরও দুই ভাই।
বট বৃক্ষ সম পিতা মাতা না থাকলে যা হয়
অবহেলা অনাদরের ঝোল আর পান্তা ভাতের সমাবেশে ভরা জীবন,
অভিযোগ থাকাতো দুরের কথা, অভিযোগ করার সনদও নেই
সকাল থেকে রাত অবধি অসম পরিশ্রমের ঘর্মাক্ত বসন।
আহারে! লাল টুকটুকে মেয়েটার গালে, কপালে অনিচ্ছার কাজল
মনেতে দু:খের শ্যাওলা আর বাড়ন্ত দুই ভাইয়ের ভবিষ্যতের ভাগ্যলিপি,
দুর্ভাগ্যের পান্ডুলিপিতে তার যে দুর্দান্ত সংলাপবিহীন অভিনয়
সুখবর নেই, সুখবর নেই, আছে শুধু চোখ জ্বালানো কথার ঝাঁপি।
দিনক্ষন মনে নেই, নেই কোন ছবি ,অলংকার কিংবা চাবি
দু:খের বেখেয়ালি দুলালের চালের সাথে বাঁধা হল তার জীবন ভেলা,
মাটির বিছানা আর একটি কাঁথার সাথে লেখা হল বাসর উপন্যাস
সেই থেকে শুরু, কাচা-মিঠে-তেতাে-ইচ্ছা-অনিচ্ছার পথচলা।
সমাপ্ত
(আমার গর্ভধারিনীর আর বাবার জীবন চিত্র ধরার চেষ্টা করেছি। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে- তারা দুজনের শৈশব -কৈশোর কেটেছে পিতৃ-মাতৃহীন। আক্তারুন আমার মায়ের নাম। মা-বাবার আজন্ম বিষাদে আমি চিরকাল প্লাবিত।)