অদৃশ্য এক বাতাসের মত,
তোমার নিরবতা ছড়িয়ে পড়ে আমার দেহের মধ্যে—
যেমন সলিলের অগণিত ঢেউয়ের মাঝে এক বিরাট নীরবতা,
যেমন ভোরের আকাশে প্রভাত সূর্যের অপেক্ষায় থাকা অন্ধকার।
তুমি আমাকে বুঝতে দাও,
তবে কখনো বল না কিছু,
তুমি কিছু বলতে চাওও না,
আমার কবিতার সুরে তোমার নাম উড়ে যায়,
কিন্তু তুমি খোঁজো না।
দেখো,
যতটা তোমাকে জানি, ততটা আমি যেন কখনো জানি না,
আমি তোমার শরীরের শব্দে হারিয়ে ফেলি,
তবে তুমি আমাকে শুনতে পাও না।
কোনো এক ভোরের আলো, তোমার চোখে চুম্বন,
আর আমি, তোমার চুপ থাকা অবজ্ঞা,
এ যেন নদীর তীরে ফেলে রাখা সোনালি পাতা—
যে পাতা এক সময় শাখায় ছিল,
কিন্তু আজ চুপচাপ নদীকে বাঁধা হয়ে পড়ে।
তোমার ঠোঁটের মাঝে ঘুরে বেড়ানো ক্ষীণ হাসি,
যা কখনো আমার দিকে ফিরেও দেখেনি,
আমার কবিতার মাঝে চিৎকার করে উঠছে,
কিন্তু তুমি কানে তোলো না।
মনে হয়, আমি যেন শূন্য গম্বুজের নিচে হাঁটছি,
যেখানে গগন তোলপাড় হয়,
কিন্তু আমার বচন শুনে না,
শুধু তুমি, তোমার শীতল অবহেলা—
এ যেন নিঃসঙ্গতার এক আশ্রয়।
আহ, তুমি কি জানো,
কিভাবে অভিমান গেঁথে দেয় আমার শব্দ?
কিভাবে সে শব্দ আমার কলমের প্রান্তে নিঃশব্দে ছুঁড়ে ফেলে?
তবে তুমি যদি জানো, তবে তুমি নিশ্চুপ—
তোমার এ অনুগ্রহের আঁধার,
এ যেন জীবনের গভীরে নির্জনতা।
আমি চলে যেতে চাই,
তবে আমার পা একে একে স্থির হয়ে যায়,
জন্ম হয় নীরব প্রশ্নের—
কেন আমাকে ছেড়ে যাওয়া যায় না?
"যারা তোমার হৃদয়কে অগ্রাহ্য করে,
তাদের চোখে অভিমানী চাহনি হতে থাকো।"
তুমি চলে যেতে চেয়েছিলে,
তবে আমি কখনোই যেতে পারি না।
কারণ, উপেক্ষার অগ্নিতে পোড়েও,
শুধু তোমার ছায়াতেই বেঁচে থাকতে হয়।
উৎসর্গ : স্বপনালী