উপস্থাপক সদম্ভে ঘোষণা করলেন,
এ মহতী সভায়, আমার প্রাণপ্রিয় স্ত্রী
শ্রীমতি আরতি দেবী যদি উপস্থিত থাকতেন-
থাকতে পারতেন, তবে আমার মতো তিনিও হতেন
এ বংগীয় সাহিত্য বাসরে এক জীবন্ত কিংবদন্তি...
আপনারা জানেন, তিনি একজন
অনন্যসাধারণ প্রতিভাধর কবি,নাট্যকার,
গীতিকার, সুরকার, চিত্রশিল্পী ও কথাসাহিত্যিক..
আপনারা জেনে অবাক হবেন যে,
তিনি কথায় কথায় ছড়া, কবিতা এমনকি
গীতিকবিতা প্রসব করতে পারেন;
কোন নরাধম তাঁরে বন্ধ্যা বলে?
এই যে তিনি প্রতিদিন এত কাব্যকথা
প্রসব করেন, এগুলো কি তার সন্তান নয়?
মাটির প্রতিমায় যদি প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়,
জগদীশ বাবুর গাছে যদি প্রাণের অস্তিত্ব থাকে;
তবে আমার স্ত্রীর কথা ও কবিতায় অবশ্যই
প্রাণ ও স্পন্দন উভয়ই আছে।
আপনারা শোনে নিশ্চয় খুশী হবেন, আমরা
নিজেরাই একটি নোবেল কমিটি করতে যাচ্ছি;
আপনারাই বলুন,
খামাকা কেন পরের দ্বারস্থ হবো?
যাক, এবার আসল কথায় আসি ,
একে একে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেই-
তবে এ কথাও ঠিক, আমার স্ত্রী শ্রীমতি
আরতী দেবী যেখানে আপনার আমার
সকলের আদর্শ, আমরা সেখানে তার
অনুসারী, শুধুই অনুসারী মাত্র...
আমাদের এর চেয়ে বড় পরিচয় আর কি আছে?
এহেন পরিচয়ে আমাদের সকলের
গর্ভবতী (গর্বিত!) হওয়া উচিত।
আসুন এ মহামতী মহাকবির নামে
একটা শ্লোগান দেই, শ্রীমতী আরতিদেবীর
জয়ধ্বনি ঘোষণা করি-
সকলে আকাশ বাতাস কম্পিত করে বলুন
আরতী দেবীর জয় হোক, জয় হোক.... আর
সারা জীবনই বাতাসে কান পাতলে
আপনারা আমার স্ত্রীর জয়গান শুনতে পাবেন;
সকলে সমস্বরে বলিয়া উঠিলেন
জি হুজুর, জি হুজুর!