সুমনা, আমার কথা ভেবে ভেবে বিষন্ন হয়ো না আর
দেখে নিও, আমি ঝিলের ধারে ছোট্ট কুটিরে
মোমবাতি জ্বালিয়ে ধ্যানে বসে যাবো, যেমন করে
এক পায়ে ধ্যান করে ধান শালিক, শাদা বক;
ধানের শীষের গন্ধে যদি উন্মন হই কখনো
তারার বাতি জ্বেলে রাত্রিপূজোর আয়াজনে
তোমায় ডাকবো না
তোমার লতানো ঘুম ভাঙবোনা।
সুমনা আমার কথা ভেবে ভেবে বিষন্ন হয়ো না আর
দেখো নিরামিষ খেতে খেতে নিরামিষ হয়ে যাবো একদিন;
তেতুলে জ্বিবে জল এলে মনপুরা ঘুরে এসে
দূর্বা ঘাসে গা এলিয়ে গুনগুন বারোমাসি গানে
ষড় ঋতুর পার্বন মেলায় হারিয়ে যাবো
তুমি কিচ্ছুটি ভেবো না সুমনা...
সুমনা, আমার কথা ভেবে ভেবে বিষন্ন হয়ো না আর
আমি পথের পাঁচালীতে তোমাকে খুঁজে খুঁজে যদি
দিকভ্রষ্ট হই তবে শেষের কবিতার পাতা উল্টাবো নিরিবিলি
অথবা পানকৌড়ির মতো ডুবে ডুবে জল খাবো অপলক
জীবনান্দের ধূসর পান্ডুলিপিতে
তুমি কিচ্ছুটি ভেবোনা সুমনা......