পুঁথি পড়ে গলদ করে মুখস্থবিধ
খাতা ভরে লিখে সেই গীত, 
নিজস্বতা বুঝে না হিতাহিত 
অনুকরণ, নিশ্চিত জীবনই তার মনের ভীত,
সৃজনশীলতা বলে নেই কিছু
 ছুটে চলে একাডেমি আর ডিগ্রির পিছু,
তাদের যদি মেধাবী বলো ভাই, 
বিল গ্রেটস, জুকার বার্গ! পাবে কি ঠাঁই?
রফিক, মোস্তাফিজ, মিরাজের কোন ডিগ্রি নাই 
তাদের মাঝে কি মেধার ঝলক নাই?
একাডেমির ডিগ্রি হয়না মেধার পরিমাপক 
একাডেমি শুধু মেধা বিকাশের সহায়ক!
নজরুল, রবীন্দ্রনাথকে বিশ্লেষণ করে-
যদি ডক্টরেট ডিগ্রি পাওয়া যায়,
নজরুল, রবীন্দ্রনাথ নাকি ডিগ্রিধারী
কাকে মেধাবীর তালিকায় দিবে ঠায়। 
একজন মেধাবী কালের চলন্ত ঘড়ি 
সবকিছু পিছু ফেলে চলে তার সোনার তরী
ইতিহাসের পাতা ওলট-পালট করে
নতুন করে লিখে ইতিহাস,  সৃষ্টি করে 
আপন পরিক্রমা, তার কাছে- 
বাধাবিপত্তি মৃত্যু জ্ঞান তুচ্ছ, 
সৃষ্টির আনন্দে মেলে ময়ূরী মতো পুচ্ছ। 
তাঁরা জাতির অলংকার, 
জ্ঞানদীপ্ত সেই মেধাবীরা জাতির অহংকার।