একসময় হয়ত,
নোটগুলো আর আমার বুকশেল্ফে‌
থাকবে না ।
কোনো কাগজ বিক্রেতার ঝুলিতে
অনাদরে পড়ে থাকবে ।
কবিতা ভর্তি খাতাগুলোর যত্ন কেউ নেবে না ।
পৃষ্ঠাগুলোর তীব্র গন্ধে কেউ হয়ত ফেলেই দেবে ।
ডায়রীর ভাঁজে থাকা আমার অনুভূতিগুলো
কেউ অনুভব করবে না ।
ধূলোর আস্তরণে ঢেকে হয়ত মুছেই যাবে
ডায়রীর প্রচ্ছদ ।
গল্পের খাতাগুলো খুলে কেউই আর
আসর জমাবে না।
একসময়কার ব্যবহার করা আমার
প্রিয় ঘড়িটাও হয়ত
পড়ে থাকবে স্টোররুমের এক কোণায় ।
তার টিকটিক শব্দ কেউ শুনতে পাবে না ।
ঘুণে খাওয়া চেয়ারটা কোনো মতে
দাঁড়িয়ে থাকবে চারপায়ে ।
তবে তাতে বসার ঝুঁকি কেউ নেবে না ।
টেবিলের উপর মোটা গ্লাসের চশমাটা
পড়ে থাকবে ঠিক আগের মতোই ।
তবে সেটা কেউ পড়বে না ।
দেয়ালে টাঙানো থাকবে হয়ত
বালিকার প্রশস্ত হাসির ছবিটা ।
তবু তা যত্নের অভাবে মলিন হয়ে
রইবে ।

কারণ সেদিন...
আমি আর থাকব না ।
তবে আমার বেঁচে থাকার ঠিকানা হবে
এদের মাঝেই ।
নোটবই, কবিতার খাতা, ঘড়ি, ঘুণপোকায় খাওয়া চেয়ার,
মোটা গ্লাসের চশমা...
এদের মাঝে
আমায় খুঁজলে সেদিন
আমি না থেকেও থাকব ।
ঐ যে ঘড়ির টিকটিক শব্দ,
আমি শুনতে পাব ।
ডায়রীর ভাঁজের অনুভূতিগুলোতেও
আমি থাকব ।
ঘুণে খাওয়া চেয়ারটার মাঝে যে
আমারই ছোঁয়া মিশে থাকবে ।

তবুও...
থেকেও থাকব না
আমি আর ।

সেদিন জ্যোৎস্না রাত হয়ত থাকবে
কিন্তু আমার থাকা হবে না ।