বসন্ত এলো,....
কিন্তু আমি ছুঁতে পারলাম না।
পলাশের ডালে যে আগুন জ্বলছে,
তার উষ্ণতা আমার গায়ে লাগল না।

ঝরা পাতারা ঝরে গেলো নীরবে,
শহরের ব্যস্ত রাস্তায় একলা দাঁড়িয়ে আমি,
ধুলো মাখা পথে আমার পায়ের শব্দ পড়ল না।

পাহাড়ের সেই স্নিগ্ধ কঠিন ছায়াপথ,
ঝরনার জল যেখানে পাথর ছুঁয়ে নামে,
সেই শীতল ছোঁয়া এ শরীর ছুঁতে পারলো না।

একদিন যে হাত আকাশ ছুঁয়ে, স্বপ্ন বুনেছিলো,
আজ সে হিসেব কষে ,একটা শুকনো রুটি,
আর এক কাপ চায়ের দামে কি বসন্ত কেনা যায়?

আকাশে বাতাসে প্রকৃতির জানালায় বসন্তের সাজ,
সব দেখেও কিছু ছুঁতে পারি না,
পকেটের শেষ কয়েনের ধাতব শীতলতা,
আমাকেই নিঃসঙ্গ করে দেয়।

বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ আঁচল,
পলাশের আগুন এবারও জ্বলেছে,
কৃষ্ণচূড়াও মেঠো সুরে গান ধরেছে,
কিন্তু আমার পড়ে থাকা আধখোলা চিঠিতে
জমে থাকে শুধু প্রয়োজনের হিসেব ।

আমার বসন্ত কেবলই হিসেবের ফাঁকে
শূন্যতার মতো পড়ে থাকে, আর
ঝরা পাতার মতো নিঃশব্দে হারিয়ে যায়।


...