ন্যাপা ঠাকুর
দুঃখী জাহিদ
১.
হাফিজ সাহেব,জোড় গলায় ডাক পারলেন ,এই থাম ক্ষ্যাপা
মারবো লাথি ,না থামিলে ,পাগল হয়ে গেলি নাকি ন্যাপা
ন্যাপা দৌড়াচ্ছে আর কাঁদছে ,বুকের ব্যথা , যায় কি চাপা
কাল রাতে খুব মেরেছে ,সারা রাত বেঁধে রেখেছিলো দুই পা ।
হাফিজ সাহেব ,থামিয়া গেল ,আর যে পা কুলায় না
ডাক পাড়িল ,আর বলিল ,ক্ষমা চাই বাবা ফিরে আয়
তর মা যে কেঁদে শেষ ,আয় না বাবা বাড়ি চলে যায়
শুনে কি পাগলা ,যাচ্ছে একলা,কেঁদেকেটে ক্ষোভ ঘৃণায় ।
২.
রাতের অন্ধকার ,মশার কামড়,পেঠের ক্ষুধা দিচ্ছে চাপ
পিছনে নাকি সামনে ,সো করে উঠিল, গোখরো সাপ
ন্যাপা তখন ,এক লাফে বলিয়া উঠিল, বাপরে বাপ
আমি নাই বাবা ,এখনি বাড়ি যাব, বলে দিচ্ছি সাফসাফ ।
যত ক্ষোভ ছিলো,পালিয়ে গেল ,চলিল সে বাড়ির দিকে
জোনাকিরা উস্কানি দেয়,তাকিয়ে থাকে আর চোখে
কুকুর গুলো ইশারা দেয়, থাকনা বাবা ,রাখবো তরে সুখে
রাত যে গভীর ,কাঁপনি দিচ্ছে,হাঁটছে দুখে দুখে ।
৩.
বাড়ি অনেক দূরে ,তারপরও ডাক পাড়ে ,মা মা বলে
কেমন পাগলনী মা,ডাক ইশারায় ,ন্যাপা বুঝি এলে
হাফিজ সাহেব ,চুপ করে রয়,আস্তে করে বাইরে চলে
বাড়ির কোণায় ন্যাপা হাজির ,কেন বাবা এমন করলে ।
বুকে তাঁরে জড়ায়ে ,চলিল বাবা বাড়ির ভিতর
এমন আদর ,কে করিবে ,মা বাবা ছাড়া এতপড়
বুঝিল ন্যাপা,বাবা মা ছাড়া ,তার জীবন যে ,বড়ই নড়বড়
অবশেষে বুঝিল,মা বাবার অন্তর সন্তানের ঘড় ।