আমার কবিতার সংখ্যা ঠিক কত ?
সংখ্যাতাত্ত্বিক বিচারে ভারিক্কি কিংবা গণনার সুবিধার্থে ধরে নেই দেড়’শ থেকে দু’শো;
এত শত কবিতার ভিড়ে আমি কতবার হারিয়েছি জানেন?
আপনি আপাতত হয়ত একজন সাধারণ পাঠক কিংবা সমালোচক
তাই কবিতায় কবির হারিয়ে যাওয়াটা ঠিক ধরব ধরব করেও ধরতে না পারার মতই;
আসুন, একজন কবিকে জিজ্ঞেস করি -
তিনি তার কবিতায় কতবার নিখোঁজ হয়েছেন?
স্নানঘরে নিজেকে নগ্ন করে পরিষ্কার জল সাবানে নিজেকে ধোয়ার পর
কবিতার শুদ্ধ লাইনে কতবার আত্মাহুতি দিয়েছেন কবি ?
আমার কবিতায় ফিরে আসি-
আমার কবিতার চরিত্রগুলো সব যেন এই সময়েরই-
কালোত্তীর্ণ কেউ নেই;
আমি কোন নিখিলেশ- সুজাতা কিংবা নীরার জন্ম দিতে পারি নাই।
আমার কবিতার চরিত্রেরা আমার মতই ভেতো ও ভীতু নাগরিক-
সহজ-সরল;
বাসে ওঠে- ট্রেনে চড়ে কিংবা পায়ে হাঁটে।
তাদের সকলের মধ্যেই একটা সাধারণ অস্তিত্ব লক্ষণীয়;
এঁরা প্রত্যেকেই সম্প্রীতির বন্ধনে অটুট।
সম্প্রীতি শব্দের মানে জানেন নিশ্চয়ই ?
আমার মত করে আমি বলছি-
সমতা ও প্রীতি;
রাষ্ট্রীয় সংবিধানে ঠাই পাওয়ার মত উৎকৃষ্ট শব্দ।
দু’জন কিংবা দশজন তরুণকে খুঁজে বের করুন
যারা কেউ কোনদিন কোন কবিতা পড়েনি;
খুঁজলে অনেক পাওয়া যাবে- কবিতায় অনীহা সাধারণ অসুখ।
তাদের হাতে আমার দুটো কবিতা তুলে দিন-
প্লিজ ওদের হাতে রবীন্দ্রনাথ কিংবা ফররুখ আহমদ তুলে দিবেন না;
তাঁরা এই সময়ের নয়।
রাবিন্দ্রীক শব্দে আমি লিখে দেখেছি-
এই সময়, এই আপনারাই সেটা নিতে পারেন না।
কে জানে,
কাল বেঁচে থাকবেন কিনা-
আক্ষেপ নিয়ে মরতে না চাইলে
দু’টো কবিতা অন্তত পড়ে মরুন-
আত্মার তৃপ্তি হবে
আত্মার তৃপ্তি হবে
আত্মার তৃপ্তি হবে ।।